গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রতিটি ঔষধ এর মতো রয়েছে। এই সাপোজিটরিটি সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সেবন করা হয়। সাপোজিটরি সাধারণত পায়ু ছিদ্র দিয়ে দিতে হয়। এটি সেবনের ফলে মলকে নরম করে মল বের করে আনে এবং মল ত্যাগ সহজ করে।

গ্লিসাপ-সাপোজিটরি-পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

এই সাপোজিটরি ব্যবহারের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। আজকের আর্টিকেলে আমরা গ্লিসাপ সাপোজিটরির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব এবং যদি আমাদের উপরের প্রভাব বিস্তার করে তাহলে সতর্কতা অবলম্বন করব।

পেজ সূচিপত্রঃ গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, গ্লিসাপ সাপোজিটরি এই ঔষধটি শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ব্যবহার করে থাকেন। এটি রেকটালে ব্যবহার করার জন্য একটি সাপোজিটরি যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানে ভূমিকা পালন করে। এই সাপোজিটরিটি ব্যবহারের ফলে ২০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই এর কার্যকারিতা লক্ষ্যণীয় হয়। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে মল ত্যাগ করা সম্ভব হয়। তবে এই সাপোজিটরিটি অনেক নিরীহ মনে হলেও এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা শরীরের ছোট থেকে তীব্রতার ক্ষতি করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি এই সাপোজিটরিটি দৈনন্দিন ব্যবহারের রুটিন বানিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার স্বাভাবিক মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। অর্থাৎ যখন আপনি এই সাপোজিটরিটির মাধ্যমেই মলত্যাগে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন আপনার শারীরিকভাবে এবং প্রাকৃতিকভাবে মলত্যাগ কষ্টকর হয়ে উঠবে। এছাড়াও এর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শরীরের হরমোন এবং শারীরিক অবস্থা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিলক্ষিত হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। তার আগের নিচে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলোঃ

  • অস্বস্তি লাগা
  • এলার্জি হওয়া
  • অন্ত্রের উত্তেজনা সৃষ্টি
  • ডায়রিয়া হওয়া

জ্বালা ও অস্বস্তি অনুভব

গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রথম ধাপে স্থান পায় জ্বালা ও অস্বস্তি অনুভব হওয়া। অনেক সময় এই সাপোজিটরে আপনি রেকটালে প্রবেশ করানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্বালা বা পোড়া অনুভব করতে পারেন। এই জ্বালা পোড়া হতে পারে কারণ আপনার সেবন কারা সাপোজিটরের টি সরাসরি রেকটালে প্রবেশ করার পর রেকটালে যে সব টিস্যু রয়েছে সেগুলোর সাথে এর রাসায়নিক উপাদানগুলো মিশ্রণ হয়ে যাওয়া। এই মিশ্রণের কারণে জ্বালা ও পোড়ার অনুভূতি হতে পারে।
যদি আপনার পূর্বে পাইলস হয়ে থাকে তাহলে এই জ্বালা বা পোড়ার অনুভূতি আরও তীব্রতর হতে পারে। এছাড়াও আপনার যদি রেকটাল ফিসার হয়ে থাকে তাহলেও এই জ্বালার তীব্রতা অনুভব করতে পারেন। এই জ্বালা বা পোড়া থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহারের পূর্বেই সাপোজিটরিটি পানি দিয়ে আদ্র করে নিন। এরপর সেবনের সময় খুব সর্তকতার সাথে সেটি প্রবেশ করান। এটি প্রবেশ করানোর পর ন্যূনতম পনেরো থেকে বিশ মিনিট বিশ্রাম নিন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে জ্বালা ও অস্বস্তি অনুভব হবে না।

প্রয়োজনিরিক্ত ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি

গ্লিসাপ সাপোজিটরি ঔষধটি সামরিক ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু যদি আপনি এটি আপনার প্রয়োজন এর অতিরিক্ত হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এর ফলাফল  বিপরীত হতে পারে। প্রথমত অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে এটি আপনার অন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে। কেননা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে এটি যখন আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে তখন স্বাভাবিকভাবে মলত্যাগ করার প্রক্রিয়াটি আপনি সম্পন্ন করতে পারবেন না।

যার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরো তীব্রতর হবে। আপনার অন্ত্রে গ্যাস ও জ্বালা পোড়ার সমস্যা দেখা দেবে। এর পাশাপাশি যখন আপনার মলত্যাগ স্বাভাবিকভাবে আর হবে না তখন মানসিকভাবেও বিপর্যয়গ্রস্থ হবেন। তাই যদি এটি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে আস্তে আস্তে এটি কমিয়ে ফেলুন। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য নিয়মিত পানি পান করুন এবং ফাইবার যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন। গ্লিসাপ সাপোজিটরি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটিও গণনা যোগ্য।

শরীরের রেকটালে এলার্জি হওয়া

গ্লিসাপ সাপোজিটরি সেবনের ফলে শরীরের রেডটালে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই রয়েছে। এটি শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিগণিত হয়। আপনার শরীরের রেকটালে এলার্জি হয়েছে কিনা সেটি বোঝার উপায় হল প্রথমত আপনার রেকটালে লালচে ভাব দেখা যাবে। যেটি আপনাকে বিশেষ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। রেকটালের ভেতরের অংশে তীব্র চুলকানি বা লাল ভাব এর লক্ষণ। আপনার রেকটালের আশেপাশের জায়গাগুলো ফুলে যেতে পারে। এর ফলে মলত্যাগ কষ্টকর হয়ে যাবে।
গ্লিসাপ-সাপোজিটরি-পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
রেকটাল টিস্যুগুলোতে আঘাত পেলে সেটি মাঝে মাঝে ছিড়ে যেতে পারে অথবা কেটে যেতে পারে। যার ফলস্বরুপ মলত্যাগের সময় রক্তপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে। যদি এই ধরনের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেন তাহলে এ সাপোজিটরি সেবন করা বন্ধ করে দিতে হবে এবং দ্রুত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার পরামর্শ অনুসারে সেটি পরিবর্তন অথবা পুনরায় গ্রহণ অথবা একেবারে ত্যাগ করে ফেলতে হতে পারে। এই পদ্ধতিটি অনুসরণের মাধ্যমে সচেতন থাকুন। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটি একটি অংশ।

অন্ত্রের অধিক উত্তেজনা সৃষ্টি

গ্লিসাপ সাপোজিটরিটি অন্ত্রের ভেতর থেকে মলত্যাগ করতে সহায়তা করলেও এটি মাঝে মাঝে অনেকের শরীরের অন্ত্রে অধিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। যাদের অন্ত্রের টিস্যুগুলো সংবেদনশীল তাদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সাপোজিটরিটি অন্তের ভেতর থেকে পানি টেনে বের করে এবং মলকে নরম করে বের করে দেয়। এই তরল নিষ্কাশন করার ফলে অন্তরের ভেতরে সংকোচন শুরু হয়। সংকোচনটি যত বেশি হবে তত উত্তেজনা বেশি সৃষ্টি হবে। এই উত্তেজনার ফলে পেট ব্যথা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও অন্ত্রের এই সংকোচনের ফলে গ্যাস্ট্রিক বা বমি বমি ভাবও হতে পারে। অনেক সময় এই অন্তরের সংকোচনের ফলে মলত্যাগ এর অনুভূতি হতে পারে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মলত্যাগ করতে বসলে কোন কিছুই বের হয় না এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। যে সমস্ত মানুষের গ্যাস্ট্রিক আলসার বা এই ধরনের গ্যাসীয় কোন সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো তীব্রতর হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাপোজিটরিটি সেবন করা বন্ধ করে দিতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। উত্তেজিত না হয়ে সমাধান করতে হবে।

স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হওয়া

গ্লিসাপ সাপোজিটরিটি ব্যবহারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় সত্যিই। এটি কার্যকর একটি ঔষধ। তবে এটি অতিরিক্ত এবং নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে অন্ত্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। যখন একজন রোগী নিয়মিত এই সাপোজিটরিটি ব্যবহারের ফলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তখন তার মলত্যাগের জন্য স্বাভাবিক উদ্দীপনা আর কাজ করে না। তখন থেকে এই সাপোজিটরিটি ব্যবহার না করলে সে আর মলত্যাগ করতেই পারবে না। অন্ত্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হবে।

এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে প্রথমত যে সমস্যাটি দেখা দিতে পারে সেটি হল মলত্যাগের চাপ অনুভব বন্ধ হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ যদি আপনার মলত্যাগের চাপ পায় আপনি সেটি অনুভব করতে পারবেন না কিন্তু মলত্যাগ করতে চাইলে মল বের হবে। সাধারণত মানুষ সকালে উঠে মলত্যাগ করে। আপনি যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে সকালে উঠে মলত্যাগের অভ্যাসটি বদলে যাবে। এছাড়াও আপনার অন্ত্র মলত্যাগের অভ্যাস হারিয়ে ফেলবে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়া থেকে বাঁচাতে অস্বাভাবিক সেবন পরিহার করুন।

ডায়রিয়া ও ডিহাইড্রেশন হওয়া

গ্লিসাপ সাপোজিটরিটি তরল নিষ্কাশন এর মাধ্যমে মল নরম করে এবং সেটি ভেতর থেকে বাইরে টেনে বের করে। এটি স্বাভাবিক ততক্ষণ থাকে যতক্ষণ তরলটি স্বাভাবিকভাবে মিশ্রিত হয়। কিন্তু যখনই অতিরিক্ত পরিমাণে তরল বের হয় তখন সেটি আস্তে আস্তে ডায়রিয়ার পর্যায়ে যেতে পারে অথবা ডি হাইড্রেশন হতে পারে। ডি হাইড্রেশন মানে হলো পানি বিয়োজন। এর মানে শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া। তরল নিষ্কাশনের পাশাপাশি এটি শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবনও বের করে দিতে পারে।

যদি আপনার শরীরের ডায়রিয়া বা ডি হাইড্রেশন দেখা যায় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ঘন ঘন পানি তেষ্টা পাচ্ছে। আপনি অনুভব করবেন আপনার মুখ এবং ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং আপনার মাথা ঘুরাচ্ছে। মলত্যাগের সময় লক্ষ্য করবেন আপনার মল পানির মত পাতলা হয়ে বের হচ্ছে। আপনার চোখ ভেতরে দিকে বসে যাবে এবং প্রসাবের পরিমাণ কমে যাবে। এই লক্ষণ গুলো দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন এই সাপোজিটরিটির ফলে আপনার ডায়রিয়া বা ডি হাইড্রেশন হয়েছে।

ভুল প্রয়োগের ফলে ক্ষতি

এই ঔষধটির যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি যদি ভুল ভাবে প্রয়োগ করা হয় তাহলে এটির স্থায়ী ক্ষতির রেকটালে করতে পারে। রেকটালে নানা ধরনের সংক্রমণ এবং রেকটালে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে ভুল প্রয়োগের ফলে অর্থাৎ যদি কেউ এটির প্রয়োগের পদ্ধতি না জানে অর্থাৎ যদি প্রবেশের সময় সঠিক কোনে প্রবেশ না করায় অথবা জোর করে প্রবেশ করায় তাহলে মলদ্বারের টিস্যু ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে রক্তপাত হতে পারে এবং এখান থেকে পাইলসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
কাজেই সঠিক পদ্ধতি হলো প্রবেশ করানোর সময় খুব জোড়াজুড়ি না করা অর্থাৎ জোরে প্রবেশ না করানো। প্রবেশ করানোর পূর্বে সেটিকে পানি দিয়ে আদ্র করে নেওয়া। সঠিক কোন এ প্রবেশ করানো যাতে টিসুগুলো ছিড়ে না যায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যখন প্রবেশ করানো হয় তখন খেয়াল রাখতে হবে তারা যখন অস্থির অবস্থায় আছে অর্থাৎ কান্নাকাটি করছে সেই সময় তাড়াহুড়ো করে প্রবেশ না করানো উচিত এবং এটি সেবনের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

অবশিষ্ট থেকে যাওয়ার ফল

গ্লিসাপ সাপোজিটরিটি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য যেহেতু ব্যবহার করা হয় সেহেতু এটি রেকটালে প্রবেশ করানোর পর সেটি সম্পূর্ণ দ্রবীভূত না হওয়ার পূর্বেই যদি মলত্যাগ হয়ে যায় তাহলে অবশিষ্ট অংশ শরীরের ভিতর থেকে যায় এবং এর ফলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যদি সাপোজিটরিটি অবশিষ্ট থেকে যায় তাহলে প্রথমত সেটি রেকটালে জ্বালা অনুভব করতে পারে। এটি হালকা থেকে তীব্রতর হতে পারে। এছাড়াও তীব্র অস্বস্তি অনুভব হতে পারে। যেটি একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
গ্লিসাপ-সাপোজিটরি-পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
এছাড়াও চামড়া সংক্রমণ হতে পারে অর্থাৎ অবশিষ্ট থেকে যাওয়া অংশগুলোতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে সেটি চামড়াতে সংক্রমণ করতে পারে। সেবনকারীর মনে হতে পারে যে তার মলত্যাগ সম্পূর্ণ হচ্ছে না এর ফলে মানসিকভাবে সে খিটমিটে মেজাজ হয়ে যেতে পারে এবং এটি অস্বস্তিকর বিষয়ে পরিণত হতে পারে। এবং এটি যদি সম্পূর্ণভাবে গলে না যায় তাহলে এর কার্যকারিতা হারাতে পারে অর্থাৎ সঠিকভাবে কাজ তখন নাও করতে পারে। কাজেই এই ঔষধটি সেবনের পর যদি কোন অংশ থেকে যায় তাহলে সতর্ক থাকুন।

মন্তব্যঃ গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আজকের আর্টিকেলে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো। গ্লিসার সাপোজিটরিটি ছোট শুরু করে সকল বয়সের মানুষেরাই এটি ব্যবহার করে থাকে। স্বাভাবিকভাবে এই ঔষধটি নিরীহ মনে হলেও এর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষণীয়। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো শুধু শরীরের সাথেই সম্পর্কিত নয় বরং এটি দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরার সাথেও সম্পর্কিত। এমনকি এটি মানসিকভাবেও প্রভাব বিস্তার করে। কখনো কখনো এটি মানসিকভাবে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এটি ব্যবহার করার পূর্বেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যে এটি একটি অস্থায়ী সমাধান। স্থায়ীভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান পেতে হলে আপনাকে নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। অতিরিক্ত এবং অনিয়মিত সেবনের ফলে এটি আপনার শরীরের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। কাজেই এই সাপোজিটরিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। আমাদের পোস্টটি নিয়মিত পড়ে আমাদের সাথেই থাকুন।250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url