তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে
তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে, প্রতিটি সংস্কৃতিতেই দাঁত পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়। তাই তাজিকিস্তানেও শিশুদের দাঁত পড়লে এটি তাদের সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। তাজিকিস্তানের মানুষের কাছে দাঁত পড়ার শুধুমাত্র একটি শারীরিক পরিবর্তন নয়,
এটি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত ও মানসিক পরিবর্তন। আজকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে পয়েন্ট আকারে। সেখানকার রীতিনীতি সম্পর্কেও আজকে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে এই কনটেন্টের মাধ্যমে। তাজিকিস্তান এর এমন সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে
তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে
তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে,মানুষ যখন বড় হয় তখন ছোট থেকে বড় হওয়ার সময় তার নানা আচরণগত পরিবর্তন এর
মধ্য দিয়েই তৈরি হয় নানা সংস্কৃতি ও আচার রীতি নীতি। ছোট বাচ্চার দাঁত পড়া
একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও পৃথিবীর অনেক দেশ ও অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি
সংস্কৃতির অংশ হিসেবে প্রচলিত হয়েছে। তাজিকিস্তান এর ব্যাতিক্রম নয়। এশিয়া
মহাদেশে অবস্থিত এই দেশটিতে দাঁত পড়ার বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের সংস্কৃতি
রয়েছে। তাজিকিস্তানে নতুন দাঁত পড়া নতুন জীবনের সূচনা হিসেবে পরিগণিত করা হয়।
দাঁত পড়লে তাজিকিস্তানের লোকজন অনেক সময় সেটি মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দেয়। আবার
অনেক সময় সেটি আকাশের দিকে নিক্ষেপ করা হয়। তাজিকিস্তানের অনেক মানুষ মনে করে
দাঁত নিয়ে তাদের এই সংস্কৃতিটি সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে তাদেরকে ধরা দেবে।
তাজিকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে পুরাতন কিছু
সংস্কৃতি ছোঁয়া থেকে গেছে যেগুলো ইসলাম সমর্থন করে না।
মাটিতে গর্ত করে পুতে ফেলে
তাজিকিস্তানে দাঁত পড়লে প্রথমত মানুষ যে কাজটি করে সেটি হল দাঁতটি কে মাটিতে
গর্ত করে পুঁতে ফেলে। তারা মনে করে এই দাঁতটি যদি মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলা
হয় তাহলে সন্তান এর দাঁত শক্ত সোজা ও মজবুত হয়ে বের হবে। তারা মনে করে পুরনো
দাঁতটি যেহেতু মাটির সাথে স্থির ভাবে মিশে যাচ্ছে তাহলে নতুন যে দাঁতটি বের
হবে সেটিও প্রকৃতির মতোই স্থির এবং শক্তিশালী ও সোজা হয়ে বের হবে। অনেক সময়
শিশুরা নিজ হাতেই তাদের দাঁতটি মাটিতে পুঁতে ফেলে এর পাশাপাশি দোয়া করে।
এই পদ্ধতিটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও তাজিকিস্তানে ৯৫
শতাংশ মানুষ মুসলমান এবং ইসলামে এটি সমর্থন করা হয়নি তবুও সাংস্কৃতিক দিক থেকে
বিবেচনা করে তাজিকিস্তানের মানুষ জন এই প্রথাটি অবলম্বন করে থাকেন। কেননা এটি
তাদের আবেগ জনিত জায়গা থেকে প্রতিফলিত হয়ে থাকে। আর আবেগের উৎপত্তি হল তাদের
বিশ্বাসগত স্থান থেকে। কাজেই মাটিতে গর্ত করে দাঁত পুঁতে ফেলার এই রীতিটি
তাজিকিস্তানে বেশ প্রচলিত একটি বিষয়।
পাখিকে দাঁত দান করে
দাঁত পড়া একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া হলেও তাজিকিস্তানের মানুষের কাছে
দাঁত পড়া সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে তারা মনে করে। এটি
তাদের আবেগ জনিত স্থান ও দখল করে রেখেছে। যখন ছোট বাচ্চার দাঁত পড়ে যায় তখন
বাবা-মা সহ ছোট বাচ্চা দাঁতটি আকাশের দিকে নিক্ষেপ করে। নিক্ষেপ করার উদ্দেশ্য
হলো দাঁতটি যাতে কোন পাখি নিয়ে চলে যায়। তারা মনে করে পাখিটি যদি দাঁতটি
নিয়ে চলে যায় তাহলে তার নতুন যে দাঁতটি বের হবে সেটি সোজা, মজবুত এবং চকচকে
হবে।
দাঁতটি ছুঁড়ে ফেলার সময় তারা বিভিন্ন ছড়া আবৃত্তি করে থাকে। বলে থাকে ও পাখি
দাঁতটি নাও তার বদলে সোনার দাঁত দাও। শিশুরা এই ছড়াটি আবৃত্তি করে বেশ আনন্দ
উপভোগ করে থাকে। শিশুদের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরাও এই মুহূর্তটাকে আনন্দদায়ক
হিসেবে গ্রহণ করে। তাজিকিস্তান যেহেতু একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র সেহেতু
জানিয়ে রাখা ভালো এটি মুসলিমদের অর্থাৎ ইসলামের কোন রীতিনীতি নয়। বরং এটি
তাজিকিস্তানের ব্যক্তিগত রীতিনীতি সে দেশের জনগণ পালন করে থাকে।
কূপে দাঁত ফেলে দেয়
তাজিকিস্তানের দাঁত পড়লে যেসব রীতিনীতি পালন করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
একটি হল কুপে দাঁত ফেলে দেওয়া। গ্রামাঞ্চলের মানুষ এই প্রথাটি অনুসরণ করে
থাকে। যদি কোন বাচ্চার দুধ দাঁত পড়ে যায় তাহলে সেই দাঁতটি কুয়ো ফেলে দেওয়া
হয় এবং কবিতা আবৃত্তি করা হয়। যেমন এই কুয়োর গভীর তেমনি দাঁত হোক শক্ত এবং
মজবুত। কবিতা সমূহ আবৃতি করেন তাদের নিজেদের ভাষায়। বাংলাতে যখন এটি অনুবাদ
করা হচ্ছে তখন এর ছন্দ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের ভাষায় ছন্দের মধ্যে
অন্ত মিল থাকে।
কূপে ফেলার কারন হল তাজিকিস্তানের মানুষ বিশ্বাস করে যদি দাঁতটি কূপে ফেলা হয়
তাহলে দাঁতের গভীরতা অনুযায়ী নতুন দাঁতটির শিকড় তত গভীর হবে। অনেক পরিবারের
বয়োজ্যেষ্ঠরা দাঁত ফেলার সময় দোয়া করেন যেন দাঁতটি শক্ত মজবুত এবং দৃঢ় হয়।
তারা মনে করে এটি তাদের সৌভাগ্যের একটি প্রতিটি বিষয়। যদিও ধর্মীয় দিক থেকে
এর কোন ভিত্তি নেই তবুও এটি তাজিকিস্তানের মানুষজনের একটি সাংস্কৃতিক জনিত
বিষয়। এবং এটি তাদেরকে বেশ আনন্দ দেয় এবং উৎসব মুখর পরিবেশ গড়ে তোলে।
নতুন দাঁতের জন্য দোয়া
নতুন দাঁত ওঠা এটি শারীরিকভাবে একটি স্বাভাবিক বিষয়। বিশেষভাবে তাজিকিস্তানের
মানুষের কাছে শারীরিক বিষয়ের পাশাপাশি এটি তাদের সংস্কৃতিগত এবং আত্মিক বিষয়
হিসেবে পরিগণিত হয়। অনেক পরিবারের সদস্যগণ তাদের সন্তান এর নতুন দাঁতের জন্য
দোয়া করে থাকেন। এই দোয়া করাটি শুধু ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার বিষয় নয় বরং এটি
ধর্মীয় এবং সামাজিক রীতি বহন করে। অনেকে নিজের ভাষায় আল্লাহর নিকট দোয়া করে
থাকেন যেমন,আল্লাহকে বলেন হে আল্লাহ আমার সন্তানের দাঁত শক্ত ও মজবুত করে দাও।
আরও পুড়ুনঃ পহেলা বৈশাখের ইতিহাস
খুব সহজ-সরল ও সাবলীল ভাষায় লোকজন দোয়া করে থাকেন। যেহেতু তাজিকিস্তানের
অধিকাংশ মানুষই মুসলমান কাজেই তারা কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর নিকটে
দোয়া করে থাকেন। কুরআন তিলাওয়াত করে আল্লাহর নিকট দুই হাত তুলে নতুন দাঁতের
জন্য প্রার্থনা করে থাকেন। বিশেষ করে নামাজের পর দোয়া করে থাকেন। এছাড়াও
আল্লাহর দেওয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময় দোয়া করে থাকেন। এভাবে
তাজিকিস্তানের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রীতি প্রচলিত রয়েছে যেটি
খুবই বৈচিত্র্যময়। তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে এটি তার মধ্যে একটি।
বাচ্চার পাশে দোয়া পড়া
তাজিকিস্তানে তখন দাঁত পড়ে তখন শুধু শিশুরই মুখের পরিবর্তন আসে না বরং
পরিবর্তন আসে পুরো পরিবারের। বাবা-মা সন্তানের পাশে বসে থেকে দিনে ও রাতে নানা
রকম দোয়া পাঠ করেন। দোয়া পাঠ করার কারণ হলো শিশুর দাঁতটি যাতে নতুন চকচকেও
সুন্দরভাবে বের হয় এবং এর পাশাপাশি শিশুর মঙ্গল কামনা করেও দোয়া করেন।
বাবা-মা শিশুর মাথায় হাত রেখে আল্লাহর নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে অথবা নিজের
পক্ষ থেকেই দোয়া করে থাকেন। এটি ধর্মীয় দিকটির বাহ্যিক প্রতিফলন এর
বহিঃপ্রকাশ।
এই প্রতিক্রিয়া শুধু ধর্মীয় নয় বরং শিশুটিকে আত্মিকভাবে অগ্রসর হতে সাহায্য
করে। শিশুটি নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস পরিলক্ষিত করে এবং দাঁত পড়া যে একটি
স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এই বিশ্বাস তার ভেতরে স্থাপিত হয়। যার ফলস্বরূপ সে দাঁত
পড়ার বিষয় নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয় না। আর আল্লাহর নিকট দোয়া করার মাধ্যমে
শিশুটির ভেতরে আত্মবিশ্বাস এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। শিশুদের পাশে বসে থেকে দোয়া
করা শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রতীক নয় বরং এটি বাচ্চাটির প্রতি বাবা-মার ভালোবাসার
বহিঃপ্রকাশ।
দাঁতে লবন ছিটায়
তাজিকিস্তানে কোন বাচ্চার দাঁত পড়লে সেই তাতে লবণ ছিটানোর প্রথাটি অনেক
লোকালয়ে প্রচলিত রয়েছে। বাহ্যিকভাবে এটিকে সাধারণ ও স্বাভাবিক মনে হলেও এর
পেছনে রয়েছে সামাজিক ও আত্মিক প্রতীকি বিশ্বাস ও ঐতিহ্য। লবণ ছিটানোর কারণ হলো
তাজিকিস্তানের মানুষ মনে করে লবণ একটি বিশুদ্ধকরণ উপাদান যেটি সকল প্রকার
অমঙ্গল ও অশুভ শক্তিকে দূর করে ফেলে। এবং এটি শিশুর জন্য শুভ বার্তা বয়ে আনে।
তাই বাবা মা শিশুর পড়ে যাওয়া দাঁতটিতে লবণ ছিটিয়ে দেন এবং কবিতা আবৃত্তি
করেন।
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবন দিবস কবে পালিত হয়
বাবা মায়েরা এই বলে কবিতা আবৃত্তি করে থাকেন,লবণে যাবে দুঃখ দাতে আসবে শক্তি।
এটি যেমন শিশুকে সান্তনা দেয় এর পাশাপাশি তার ভবিষ্যতের সুফল বয়ে আনার জন্য
প্রতীকী অর্থে কাজটি করা হয়ে থাকে। তারা এও মনে করে এ কাজটি করার ফলে শিশুকে
কুনজর থেকে বাঁচানো যাবে। অর্থাৎ তাদের ধারণা লবণটি রক্ষাকবজের মত কাজ করে।
অনেক সমাজে নবজাতকের পাশে লবণ রাখা হয় রক্ষাকবচ হিসেবে। এমনি বৈচিত্র্যময়
আনুষ্ঠানিক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে তাজিকিস্তানে নতুন দাঁত পড়ার ক্রিয়া
সম্পন্ন হয়।
দাঁতের নিচে খই রাখে
তাজিকিস্তানের পুরাতন দাঁত পড়ে গেলে অনেক স্থানে দাঁতের নিচে খই রাখার বিষয়টি
প্রচলিত রয়েছে। এটি একটি শিশুদের জন্য প্রতীকী অভ্যাস যা ধারণ করে ও বহন করে
একটি সামাজিক রীতি। এটি করার কারণ হলো এই প্রথাটি অবলম্বন করার মাধ্যমে তারা
মনে করে শিশুটির নতুন দাঁতটি খই এর মতই সাদা চকচকে ও মিষ্টি হয়ে বের হবে।
তাজিকিস্তানে ভাজা খই, ভাজা ধান শুভ শক্তি মনে করা হয়। এই কাজটি করার সময়
অনেকে কবিতা আবৃত্তি করে থাকেন। দাঁত পড়ে যাওয়ার প্রতিটি রীতিতেই কবিতা
আবৃত্তি রয়েছে।
খই রাখ মুখে যেন নতুন দাঁত হাসে খুশিতে এই ধরনের কবিতা আবৃত্তি করে দাঁতের নিচে
খই রাখা হয়। অনেক বাবা মা শিশু যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন দাঁতের নিচে খই রেখে
শিশুটির পাশে বসে কুরআন তিলাওয়াত করেন এবং দোয়া প্রার্থনা করেন। এটি যেমন
তাদের মানসিক শান্তি দেয় তেমনি আত্মিক প্রশান্তি বয়ে আনে। যখন এই ধরনের আচরণ
অনুষ্ঠান শিশুর সামনে পালন করা হয় তখন শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি
স্থাপন হয় এবং দাঁত পড়ার ঘটনার থেকে যে ভয় আসার কথা সেই ভয় থেকে সে মুক্ত
থাকে।
বড়দের দোয়া নেওয়া
তাজিকিস্তানের দাঁত পড়া শুধুমাত্র শারীরিক পরিবর্তনে নয় বরং এটির সাথে
সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয় জড়িত রয়েছে। সামাজিক রীতি অনুযায়ী বাচ্চাদের যখন
দাঁত পড়ে তখন সেই বাচ্চারা বড়দের দোয়া নেয়। যখন শিশুর দাঁত পড়ে তখন তাকে
নিয়ে পরিবারের দাদা দাদী,নানা-নানী অথবা অন্যান্য বৃদ্ধ ও বয়সে বড় লোকজনের
কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাচ্চাটিকে বলা হয় তাদের কাছ থেকে দোয়া নেওয়ার
জন্য। পরিবারের বড়রা তার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করে থাকেন এতে তার
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
প্রকৃতপক্ষে এই বিষয়টি দোয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটি পারিবারিক
ভালোবাসা ও বন্ধনের সৃষ্টি করে। বাচ্চাটি দোয়ার সারমর্ম বোঝেনা কিন্তু তাকে
দোয়া করা হয় এতে সে খুশি হয় এবং বড়দের প্রতি তার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি সুন্নত কাজ। কেননা আল্লাহর নিকট দোয়া
প্রার্থনা করা যে কোন বিষয়ে, এতে আল্লাহ খুশি হন এবং মানুষ কাঙ্খিত ফলাফল
পেয়ে যায়। তাজিকিস্তানে এই ধরনের রীতিনীতি ও পালন করা হয়। বড়দের দোয়া
নেওয়া তাজিকিস্তানে দাঁত পড়ার যেসব সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ রয়েছে তার
অন্তর্ভুক্ত।
মন্তব্যঃ তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে
তাজিকিস্তান দাঁত পড়লে কি করে সে সম্পর্কে আজকের কনটেন্ট এ বিস্তারিত বর্ণনা
করা হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে দাঁত পড়া স্বাভাবিক একটি শারীরবৃত্তীয়
কার্যকলাপ হলেও তাজিকিস্তান এর মানুষ জনের কাছে এটি একটি আত্মিক ও সাংস্কৃতিক
এবং ধর্মীয় পরিচয় বহন করে। তারা দাঁত পড়ে যাওয়ার পর যে সকল অনুষ্ঠান পালন
করে সেটি তাদের জাতিগত পরিচয় পর্যন্ত বহন করে। নানা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে তারা এই সকল অনুষ্ঠান পালন করে থাকে যা উপরে বর্ণিত করা হয়েছে।
কখনো দাঁত আকাশে নিক্ষেপ করে,কখনো গর্তে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে,কখনো বড়দের থেকে
দোয়া গ্রহণ করার মাধ্যমে আবার কখনো দাতের নিচে খই রাখার মাধ্যমে তারা এই ধরনের
রীতিনীতি পালন করে থাকে। পুরো বিষয়টিতে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এবং
যেই বাচ্চার দাঁত পড়ে সেই বাচ্চাটি এই সকল অনুষ্ঠান পালন করার মাধ্যমে
আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। এটি তার ভবিষ্যতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুদৃঢ়
করে। এমন দুর্লভ বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।250510
mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url