ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়
ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়, ফেমিকন কোম্পানি বাংলাদেশের সেরা পিল ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। অনেকেই জানেন না ফেমিকন পিল কি কাজ করে। এই পিলটি মূলত যেসব নারীরা বিয়ের পর তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিতে চান না বিভিন্ন কারণে তারা যদি এই পিলটি
সঠিকভাবে নিয়মিত খান তাদের বাচ্চা হবে না। এক কথায় বলা যায় ফেমিকন গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণ। আপনি যদি এর আগে ফেমিকন পিলটি
ব্যবহার করে থাকেন বা ব্যবহার করা চিন্তাভাবনা করছেন তাহলে ফেমিকন পিল খাওয়ার
নিয়ম এবং সে সম্পর্কে জানা আপনার জন্য
খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সূচিপত্রঃ ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়
- ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়
- ফেমিকন খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
- ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
- ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা
- ফেমিকন পিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- ফেমিকন খেতে ভুলে গেলে করণীয় কি
- পিল খাওয়া হঠাৎ করে বন্ধ করলে কি হয়
- ফিমিকন খাওয়ার অপকারিতা
- পিল খাওয়া বন্ধের কত দিন পর বাচ্চা আসে
- মন্তব্যঃ ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়
ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়
ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়, ফেমিকন পিল স্বল্পমেয়াদি মাসিকের সময়
থেকে শুরু করে নিয়মিত খেতে হয়। ফেমিকন পিল খাওয়ার সময়কালীন আপনি যে কোন সময়
সহবাস করতে পারেন তাতে কোন গর্ভধারণের চান্স নেই। নিয়মিত পিল খেতে হবে যদি কোন
কারণে বসতো ভুলে যান তাহলে তাৎক্ষণিক মনে পড়লে পিলটি খেয়ে নিতে হবে। যদি মাসিক
হতে দেরি হয় তবে কোন অসুবিধা নেই। ফেমিকন স্বল্পমেয়াদি নিয়মিত পিল যদি আপনি
সঠিক মত না খান প্রতিনিয়ত তাহলে সহবাসের মাঝখানে যদি এই পিলটি খান তাহলে কোন
কাজে দিবে না। তাই সতর্ক থাকা উচিত।
সেজন্য সহবাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমারজেন্সি পিল খেতে হবে। বাজারে অনেক ধরনের জন্ম
নিয়ন্ত্রণ পিল রয়েছে। তবে তার মধ্যে থেকে ফেমিকন সব থেকে ভালো। যা অনেকেই জন্ম
নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। যারা ফেমিকন পিল ব্যবহার করে তাদের
মধ্যে অনেকেই ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর সহবাস করা যায় তা জানতে চেয়ে থাকে।
পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে যেদিন থেকে মাসিক শুরু হবে সেদিন থেকেই খাওয়া শুরু
করা।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা
যেহেতু মাসিক চলাকালীন অবস্থায় সহবাস করা ইসলামিক কিংবা মেডিকেল সাইন্সে
নিষিদ্ধ। তাই মাসিক শেষ হলে আপনি সহবাস করতে পারেন তাতে কোন অসুবিধা নেই। ফেমিকন
পিল খাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সময় সহবাস করতে পারেন। আশা করি ফেমিকন পিল
খাওয়ার কত দিন পর সহবাস করা যায় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ফেমিকন খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
ফেমিকন পিলের প্যাকেটের ভিতরে ২১ টি ট্যাবলেট রয়েছে। এছাড়া সাতটি আয়রন
ট্যাবলেট রয়েছে। এই ট্যাবলেট গুলি একটানা ২১ দিন খেতে হয়, আপনি যদি ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে থাকেন তবে পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে
থাকেন তাহলে ২১ টি ট্যাবলেট শেষ করার পর শেষের সাতটি আয়রন ট্যাবলেট খেতে শুরু
করুন। সাধারণত ফেমিকন পিল এর ২১ টি ট্যাবলেট শেষ করার পর সাত দিনের ভিতরে মাসিক
হয়ে যায়। শেষের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার সময়কালীন মাসিক হোক বা না হোক।পরের দিন নতুন আরেকটি ফেমিকন পিল শুরু করতে হয়। সে একই নিয়মে আশা করি ফেমিকন
পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় জানতে পেরেছেন। অনেকের ক্ষেত্রে ফেমিকন পিল
খাওয়ার পর মাসিক শুরু হওয়ার সময় কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত এই পিল
কোর্সের শেষে মাসিক শুরু হয়। এর মানে হলো যে আপনি যখন ফেমিকন পিলের ২১ টি
ট্যাবলেট শেষ করবেন এবং সাত দিনের বিরতি নেবেন তখন মাসিকের রক্তপাত হওয়া শুরু
হতে পারে। তবে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এটি দুই থেকে তিন দিন পরে শুরু হতে
পারে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা প্রথমে মাসিকের অন্ততপক্ষে তৃতীয় দিন
থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পিল খাওয়া শুরু করবেন। তারপর প্রতিদিন একই সময়ে একটা
করে পিল খেতে হবে। ২১ দিন খাওয়ার পর বাদ দিতে হবে কিন্তু কোন পিল যদি মিস
হয় তাহলে আপনার যখন প্রথম দিন মিস হল পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যখনই মনে
পড়বে তখনই খেতে পারবেন। মিস হওয়ার দিনের পিল সহ যখন মনে পড়বে তখন পিল
একসাথে খেতে হবে। সেই দিনের ডোজটা নির্দিষ্ট সময় খাবেন এটা হচ্ছে একটি পিল
মিস হলে।
ফেমিকন পিল রয়েছে ২৮ টি ট্যাবলেট যা আপনাকে এক মাসে শেষ করতে বলা হয়েছে।
অনেকেই আছেন যারা ৩৩ দিন ৩৪ দিন নিয়ে যান ৩৫ দিনেও শেষ করতে পারেন না ভুলে
যান। এটা কখনো করা উচিত না আপনার ফেমিকন পিলের পাতাতে মোট চারটি লাইন দেখতে
পারেন। তার মধ্যে নিচের সাতটি বাদামি কালারের ওটাই হচ্ছে আয়রন ট্যাবলেট আর
ওপরে তিনটি লাইন আপনার হরমোনের জন্য যাতে বাচ্চা যেন না হয় সে ক্ষেত্রে
দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ ইউরিন ইনফেকশন দূর করা ১০ টি উপায
ফেমিকন পিল কিভাবে খাবেন প্রথমে বাম দিকে শুরুর দিকে একটি তীর চিহ্ন দেখতে
পাবেন ওই দিক থেকে শুরু করে সিরিয়াল অনুযায়ী খেতে থাকবেন। প্রথমে ২১ টি
সাদা ট্যাবলেট শেষ করবেন তারপর ৭টি বাদামি ট্যাবলেট শুরু করবেন এবং শেষের
সাতটি বাদামি ট্যাবলেট খাওয়ার যে কোন সময় আপনার মাসিক হয়ে যাবে। যতটুকু
সম্ভব চেষ্টা করবেন ট্যাবলেট যাতে খেতে মিস না হয়ে যায় আর যদি ট্যাবলেট মিস
হয়ে যায় তাহলে যখনই মনে পড়বে তখনই খেয়ে নিবেন।
ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা
সাধারণত শারীরিক সম্পর্কে ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টার মধ্যে এই পিল খেতে হয়। এই পিল
খেলে ডিম্বাবশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়ে জরায়ুতে আসতে দেরি হয়। এই সময়ের
মধ্যে জরায়ুতে থাকা শুক্রাণুগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ডিম্বাণু শুক্রাণুর
সঙ্গে নিষিক্ত হতে পারে না। তাছাড়া আপনি যদি সহবাসে ১২০ ঘন্টা পার হয়ে
যাওয়ার পর যদি ফেমিকন পিল গ্রহণ করেন ফলে তেমন একটা কার্যকরী ফলাফল পাবেন
না। তাই আপনাকে ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
ফেমিকন পিল একটি সম্পন্ন অস্থায়ী এবং পরিবর্তনশীল জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি
অর্থাৎ যতদিন গর্ভধারণ করতে না চান ততদিন পিল খেতে থাকুন। ফেমিকন খাওয়ার কতদিন
পর সহবাস করা যায় পিল খাওয়া বন্ধ করলে আপনার গর্ভধারণ ক্ষমতা ফিরে আসবে।
আবার পিল খেলে মাসিক নিয়মিত হয় এবং মাসিকের অনেক অসুবিধা কমে যায়।
গর্ভধারণ থেকে অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অনেক উপকার করে।
ফেমিকন পিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ফেমিকন পিল খাওয়ার ফলে অনেকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আবার
অনেকের কোন প্রতিক্রিয়া নাও দেখা দিতে পারে। যারা প্রথমবার ফেমিকন পিল
খাওয়া শুরু করেবেন তাদের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এক এক
ধরনের খাবার পিল এক এক ধরনের মহিলাদের শরীরের সাথে মানিয়ে যায়। তবে কোন
কোন মহিলার প্রাথমিক পর্যায়ে পিল খেলে কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। চলুন
ফেমিকন পিলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিচে দেওয়া হলঃ
- মাথাব্যথা
- মাথা ঘোরা
- বমি বমি ভাব
- মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হওয়া
- বিষন্নতা
- স্তনে ব্যথা
- পেটে ব্যথা
- ওজনের পরিবর্তন
- শরীর দুর্বল
উপরের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলি তিন মাস পর ঠিক হয়ে যায়। তাই
এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ফেমিকন পিল খাওয়া ছেড়ে দিবেন না
আর যদি দেখেন দুই তিন মাস পরেও আপনার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো ভালো হচ্ছে
না তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। নিয়মিত পিল খেতে থাকলে ২-৩ মাসের
মধ্যে সমস্ত উপসর্গ স্বাভাবিকভাবেই দূর হয়ে যায়।
ফেমিকন খেতে ভুলে গেলে করণীয় কি
অনেক মহিলা রয়েছেন যারা বিভিন্ন কাজে বা জবের কারণে ফেমিকন পিল খেতে ভুলে
গিয়ে থাকেন। সেজন্য ফেমিকন খেতে ভুলে গেলে করণীয় কি সেটাই আপনাদের এখন
জানাবো। একদিন পিল খেতে ভুলে গেলে কি করা উচিত? যদি কোন কারণে একদিন পিল
খেতে ভুলে যান তবে পরের দিন যখনই মনে পড়বেন তখন ভুলে যাওয়া পিলটি খেয়ে
নিবেন। তাছাড়া ওই দিনের পিল নির্দিষ্ট সময় খেতে হবে অর্থাৎ ঐদিন আপনাকে
দুইটা পিল খেতে হবে।
যদি কোন কারণে পরপর দুইদিন পিল খেতে ভুলে যান।তাহলে মনে পড়ার সাথে সাথে
দুইটি পিল এবং পরের দিনে আবার একটি পিল খেতে হবে মোট তিনটি পিল। একই পিলের
পাতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিলের সাথে অন্য একটি পদ্ধতি যেমনঃ কনডম ব্যবহার
করতে হবে। তবে মাসিক নিয়মিত রাখার জন্য অবশিষ্ট পিল গুলোর প্রতিদিন একটি
করে যথা নিয়মে খেতে হবে। পরবর্তীতে মাসিকে প্রথম দিন থেকে নতুন একটি
প্যাকেট শুরু করতে পারেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফেমিকন পিল কার্যক্ষমতা বাধা প্রদান করতে পারে যদি আপনি
এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করে থাকেন। তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে
হবে। এন্টিবায়োটিক সেবনের এই সময় আপনাকে অন্য ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ
পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
পিল খাওয়া হঠাৎ করে বন্ধ করলে কি হয়
একজন নারী পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলে তার মাসিক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে
আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ফিরে আসার পরেও সেটা অনিয়মিত হতে পারে। কারণ
পিলের মধ্যে রয়েছে হরমোন যা প্রত্যেক মাসে ডিম্বাণু জন্মকে ঠেকিয়ে দেয়।
যেকোনো সময় জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া ছেড়ে দেওয়া যায়। তবে অনেক চিকিৎসক
বলেন পিলের পুরো প্যাক শেষ না করে ছাড়তে মানা করেন। কারণ পুরো কোর্স শেষ
করার মাঝে ছাড়া হলে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তস্রাব দেখা দিতে পারে। এসব পিলে দুই
ধরনের সেক্স হরমোন থাকে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টিন।
এই দুই হরমোন একসাথে হয়ে ডিম্বাণুকে বাধা দেয়। এরা সার্বিক সেক্স মধ্যে
দিয়ে শুক্রানু প্রবেশে বাধা দেয় কোন ডিম্বাণু খুঁজে পায় না। হঠাৎ করে
পিল খাওয়া বাদ দিলে এর সিনথেটিক হরমোন কয়েক দিনের মধ্যে নিষ্ক্রিয়
হয়ে পড়ে, ফলের ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়ে যাবে। বহুদিন
ধরে পিল খেলে গর্ভধারণ সম্ভব হয় না। কিন্তু পিল খাওয়া বন্ধ করার এক মাসের
মধ্যে গর্ভের উর্বরতা ফিরে আসে। তবে পিল ছাড়ার পর গর্ভধারণ সম্ভব হলেও
দেহের হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম আগের মত শুরু হতে বেশ সময় লেগে যেতে
পারে।
আর হরমোনের এই এলোমেলো কার্যক্রমের কারণে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
শুরু হয়। পিরিয়ড জনিত ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, অতিরিক্ত পিরিয়ড
এসব সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বহু নারী আবারও বিল খাওয়া শুরু করে। ফেভিকল
পিলের অন্যান্য সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে চুলকানি, স্তনের
কোমলতা নষ্ট হওয়া, মূত্রনালীতে খিচ লেগে যাওয়া, মেজাজে হারানো ইত্যাদি।
তবে পিল খেলে সেক্স আকাঙ্ক্ষা কমে যায় কিন্তু পিল খাওয়া বন্ধ করলে
তা ফিরে আসে ধীরে ধীরে।
ফেমিকন খাওয়ার অপকারিতা
প্রতিটি ওষুধের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। তাই আপনি যদি
দীর্ঘদিন যাবৎ ফেমিকন পিল অথবা যে কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খেয়ে থাকেন,
তাহলে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা খাবার পিলে বেশ কিছু অপকারিতা
রয়েছে। যেমনঃ
- হাই প্রেসার
- ফোটা ফোটা রক্তচাপ
- দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া
- অনিয়তরিত চাপ
- স্তন ফুলে যাওয়া বা নরম হয়ে যাওয়া
- মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়া
উপরের এই উপসর্গ গুলো আপনার মধ্যে যদি দেখা গিয়ে থাকে। তাহলে ফেমিকন
পিল খাওয়া বন্ধ করে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তাহলে তারা আপনার
অন্য কোন পিল অথবা জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্য কোন পদ্ধতি বলে দিতে
পারে।
পিল খাওয়া বন্ধের কত দিন পর বাচ্চা আসে
পিল খাওয়া বন্ধের পর বাচ্চা হওয়ার সময়কাল অনেকগুলো কারণ নির্ভর করে। যেমন
আপনার শরীরের প্রাকৃতিক অবস্থা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পিলের ধরন এবং আপনার
চক্রের নির্দিষ্ট গতি। সাধারণত পিল খাওয়া বন্ধ করার পর কিছু মহিলার জন্য
প্রেগন্যান্ট হওয়া দ্রুত হতে পারে। আবার কিছু মহিলার ক্ষেত্রে আরো সময়
লাগতে পারে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- পিল খাওয়ার প্রভাবঃ পিল সাধারণত হরমোন যুক্ত ঔষধ। যা মহিলাদের মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পিল খাওয়ার ফলে শরীরের কিছু হরমোনের ভারসাম্য তৈরি হয় যা প্রজনন কার্যক্রম পরিবর্তন আনতে পারে। এর পড়লে গর্ভধারণের একটু সময় লাগতে পারে।
- গর্ভধারণের সম্ভাবনাঃ পিল বন্ধ করার পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকটা আপনার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। সাধারণত যদি আপনার মাসিক চক্র সঠিকভাবে পুনরুদ্ধার হয় এবং ডিম্বাণু মুক্ত হয়ে, তবে আপনি দ্রুত গর্ভবতী হতে পারেন। পিল বন্ধ করার পর প্রথম কয়েক মাসে গর্ভধারণ সম্ভাবনা অন্য সময় তুলনায় সামান্য বাড়তে পারে। কারণ আপনার শরীরে প্রাকৃতিক অবস্থা ফিরে আসতে পারে।
- নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কঃ পিল বন্ধ করার পর আপনার মাসিক চক্রের সময়সূচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে শারীরিক সম্পর্ক করা। বিশেষ করে ডিম্বানু মুক্তির সময়।
মন্তব্যঃ ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়
ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়, এই আর্টিকেলটি পড়ে এতক্ষণে হয়তো আপনাদের ধারণা হয়েছে যে ফেমিকন খাওয়ার
কত দিন পর সহবাস করা যায়। ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা এর সম্পর্কে। আশা
করি আপনি সবকিছু সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনার যদি
ফেমিকন পিল খেতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং সেটা যদি তিন মাসে
দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং সহবাসের পরে ৭২ ঘন্টার
ভিতরে আপনাকে ফেমিকন পিল গ্রহণ করতে হবে।
তাছাড়া কোন কাজ দিবে না। ফেমিকন পিল সংক্রান্ত আপনাদের কোন মতামত বা প্রশ্ন
থাকলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের সকল বিষয়ে
তথ্য দেওয়া হয়। তাই সকল বিষয়ে তথ্য যানতে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট
করতে পারেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 250510
mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url