মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়

মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়, মোনাস ১০ একটি সাধারণ ব্যবহৃত ঔষধ যা সক্রিয় উপাদানে মন্টিলুকাস্ট। একটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা যেমন হাঁপানি, এলার্জিজনিত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। মোনাস ১০ শরীরে লিউকোট্রিন নামের এক ধরনের রাসায়নিকের কার্যকলাপে ব্লক করে। যা

মোনাস-১০-কতদিন-খেতে-হয়

শ্বাসনালী সংকোচন এবং প্রবাহের কারণ হতে পারে। এটি শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ করে তোলে এবং শ্বাসকষ্টের উপশম সহায়ক হয়। অনেকেই জানতে চেয়েছেন মোনাস ১০ কত দিন খেতে হয়। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো মোনাস ১০ এটি কোনরোগের ঔষধ।

পেজ সূচিপত্রঃ মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়

মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়

মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়, সাধারণত মোনাস ১০ দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য নিরাপদ একটি ঔষধ। রোগের লক্ষণ এবং তীব্রতা অনুযায়ী এই ঔষধ কত দিন খেতে হবে তা ডাক্তাররা নির্ধারণ করে থাকেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ দিন থেকে ১ মাস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চিকিৎসকের মতে এই ঔষধ সেবনের মেয়াদ আরো কম বা বেশি হতে পারে। আপনার শারীরিক অবস্থা যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই ওষুধটি আপনি গ্রহণ করবেন।
আপনার চিকিৎসক আপনাকে যতদিন পর্যন্ত ওষুধ গ্রহণ করার পরামর্শ দেবে ততদিন পর্যন্ত আপনি গ্রহণ করবেন। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তাররা দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তার মানে হচ্ছে যতদিন না পর্যন্ত আপনার শরীর অবস্থা উন্নতি হয় ততদিন পর্যন্ত আপনি ওষুধ সেবন করতে পারেন। যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করাটাই ভালো।

মোনাস ১০ কোন রোগের ঔষধ

মোনাস ১০ মূলত হাঁপানি এবং এলার্জিজনিত রায়নাইটিসের চিকিৎসা ব্যবহৃত একটি ঔষধ। এটি মন্টিলুকাস্ট নামে একটি সক্রিয় উপাদান ধারণ করে যা লিউকোট্রিন রিসেপ্টর ব্লকার হিসেবে কাজ করে। এটি আবহাওয়া, পানি পরিবর্তন অনুযায়ী এলার্জি লক্ষণ গুলি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ঔষধ কার্যকর ভাবে হাঁপানি থেকে আক্রমণ এবং ঋতু অনুযায়ী এলার্জির লক্ষণগুলোকে প্রতিরোধ করে। এই ঔষুধটি নিম্নলিখিত রোগ গুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়ঃ
মোনাস-১০-কতদিন-খেতে-হয়
  • হাঁপানিঃ মোনাস ১০ হাপানির লক্ষণগুলো কমাতে সহায়ক। যেমনঃ শ্বাসনালী সংকোচন শ্বাসকষ্ট এবং বুকে চাপ। এটি হাঁপানি আক্রান্ত রোগীর প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং শ্বাস প্রশ্বাসকে সহজ করে।
  • এলার্জি জনিত সমস্যাঃ এটি এলার্জির কারণে শ্রেষ্ঠ লক্ষণ যেমনঃ নাক দিয়ে পানি ঝরা, নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি এবং চোখের চুলকানি উপশমে ব্যবহৃত হয়।
  • শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যাঃ মোনাস ১০ কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা যেমনঃ শ্বাসকষ্ট বা কাশি উপশমেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

মোনাস ১০ এর কাজ কি

মোনাস ১০ এম জি ট্যাবলেটি খুবই সুপরিচিত একটি ঔষধ। অধিকাংশ শ্বাসকষ্ট হাঁপানি রোগীদের ডাক্তার এই ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি রোগে ভোগে। তাই তাদের এই মোনাস ১০ ঔষুধটি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। মোনাস ১০ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত। প্রাপ্তবয়স্ক বা শিশু সকলের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ঔষুধটি বাংলাদেশের সুপরিচিত একমি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি দ্বারা উৎপাদিত।
যাদের ঠান্ডা, কাশি, কফ সমস্যা রয়েছে তাদের সাময়িকভাবে ঔষুধ সেবন করতে দেওয়া হয়। মোনাস ১০ এর একটি সক্রিয় উপাদান হলো মন্টেলুকাস্ট যার নিউকোট্রিন নামক পদার্থের কার্যক্ষমতা বন্ধ করে নিউকোট্রিন হল এমন একটি পদার্থের যা এলার্জি বাড়াই এবং শ্বাসনালী সংকুচিত করে। শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে মোনাস ১০ লিউকোট্রিন এর কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে শ্বাস প্রশ্বাস সহজ করে এবং শ্বাসকষ্ট সমাধানে সহায়তা করে। তাছাড়া এলার্জিজনিত কারণে নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি, কাশি, চোখের চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা সমাধান করে।

নিচে মোনাস ১০ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য দেওয়া হলঃ
  • অ্যাজমা প্রতিরোধ করেঃ মোনাস ১০ ট্যাবলেট চিকিৎসা ব্যবহৃত হয় এটি শ্বাসনালীতে লিউকোট্রায়েনের প্রভাব কমায় এবং প্রবাহের মাত্রা হ্রাস করে। সাধারণত রাত অথবা শারীরিক পরিশ্রমের সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। মোনাস ১০ ঔষধটি শ্বাসনালী সংকোচকে প্রতিরোধ করে এবং নিশ্বাস নেওয়ার সময়ই ব্যথা বা অস্বস্তি কমায়।
  • এলার্জি রাইনাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ঃ এলার্জি রাইনাইটিস এমন একটি অবস্থা যেখানে নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সর্দি এবং চুলকানি হয়ে থাকে। মোনোস ১০ ট্যাবলেট এলার্জি রাইটিস এর কারণে সৃষ্টি লক্ষ্য গুলোকে উপশম করে। ঋতু পরিবর্তন ধুলোবালি, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, পশুর লোম ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
  • শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করেঃ বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করা ও মোনাস ১০ এর গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিশেষ করে বাচ্চাদের মাঝ রাতের দিকে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হওয়ার খুবই সাধারণ। ট্যাবলেটটি এক ধরনের শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ সহায়তা করে এবং শ্বাসকষ্টের কারণে ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। তবে বাচ্চাদের জন্য মোনাস সিরাপ দেওয়া হয়।
  • এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করেঃ মোনাস ১০ ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি, নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো অন্যান্য এলার্জিজনিত সমস্যায় চিকিৎসা ও ব্যবহৃত হয়। এটি প্রবাহ এবং এলার্জি প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি দেয়।

মোনাস ১০ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

প্রত্যেক ঔষধের কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে সাধারণত মোনাস ১০ এ তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় না। মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয় তার না জেনে অনেকেই দীর্ঘদিন এই ওষুধ সেবন করে। এ কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই সকল কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় মোনাস ১০ সাধারণত নিরাপদ এবং সহনীয় তবে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি ব্যক্তি বিশেষ বিভিন্ন রকম হতে পারে সাধারণত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি মৃদু এবং স্বল্প মেয়াদী হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মোনাস ১০ এর সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
  • মাথাব্যথা
  • পেটে ব্যথা
  • বদহজম
  • ডায়রিয়া বা বমি
  • ক্লান্তি বা দুর্বলতা
  • ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানি
  • ঘুমের সমস্যা
  • জ্বর
  • হতাশা
  • দুশ্চিন্তা
  • উদ্বেগ
  • অস্বাভাবিক আচরণ
  • মুখ শুকিয়ে যাওয়া
  • মাংসপেশিতে ব্যথা
মোনাস ১০ এর গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
  • শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
  • অস্থিরতা মেজাজির পরিবর্তন
  • বিষন্নতা বা মানসিক চাপ
  • এলার্জি প্রক্রিয়া যেমনঃ ফোলা, চুলকানি
  • লিভার এনজাইমের এর মাত্রা বৃদ্ধি
  • ত্বকের ফোসকা বা তীব্র চুলকানি
দীর্ঘদিন ধরে মোনাস ১০ ঔষধটি সেবন করলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে। সেজন্য সঠিক ডোজ এবং কতদিন এই ওষুধ খেতে হবে তা একজন চিকিৎসঙ্গে পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত।

মোনাস ১০এর উপকারিতা

মোনাস ১০ ট্যাবলেটের প্রধান উপকারিতা হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের বিভিন্ন সমস্যা চিকিৎসা এবং এলার্জিজনিত লক্ষণ গুলোর উপশম করা। এর সক্রিয় উপাদান মন্টিলুকাস্ট, নিউট্রিন, রিসেল্টর ব্লকার হিসেবে কাজ করে। যা প্রবাহ বা শ্বাসনালী সংকোচন কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যাজমা বা হাঁপানি এবং ঋতু অনুযায়ী সৃষ্ট এলার্জির লক্ষণ গুলি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। মোনাস ১০ কত দিন খেতে হয়, মোনাস ১০ এর উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
  • হাঁপানি চিকিৎসাঃ হাঁপানি রোগীর শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে গেলে শ্বাসকষ্ট হয়। মোনাস ১০ হাঁপানি আক্রান্ত কমাতে সহজ করতে সহায়ক। এটি শ্বাসনালী ফোলাভাব হ্রাস করে এবং নিয়মিত ব্যবহারের হাঁপানির উপসর্গ প্রতিরোধ করতে পারে।
  • রাতে হাঁপানি আক্রমণ প্রতিরোধঃ অনেক সময় রাতে হাঁপানি আক্রান্ত বেশি হতে পারে। মোনাস ১০ নিয়মিত রাতে গ্রহণ করলে রাতের আক্রমণ প্রতিরোধ সহায়ক হয় এবং ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে পারে।
  • ব্যায়াম প্ররোচিত হাঁপানি প্রতিরোধঃ কিছু লোকের ব্যায়াম করার সময় হাঁপানি উপসর্গ দেখা যায়। মোনাস ১০ নিয়মিত ব্যবহার করলে এই ধরনের ব্যায়াম করার সময় হাপানি প্রতিরোধ করা যায়। মোনাস ১০ একটি প্রতিরোধমূলক ঔষধ যা নিয়মিত ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী উপকারিতা প্রদান করতে পারে। তবে সঠিক ডোজ এবং ব্যবহারের নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
  • এলার্জিজনিত উপশমঃ এলার্জি জনিত রাইনাইটিসের লক্ষণে যেমনঃ নাক দিয়ে পানি ঝরা, নাক বন্ধ হওয়া, চুলকানি এবং হাচির উপশমের কার্যকর। এটি এলার্জি থেকে শ্বাসনালী সংকোচন এবং প্রবাহ প্রতিরোধ করে।
  • অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যাঃ শ্বাসনালীর অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রে যেমনঃ শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ এবং কাশি উপশমির সহায়ক হতে পারে।

মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত মোনোস ১০ দিনে একবার গ্রহণ করা হয়। ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী সন্ধ্যার দিকে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। বিশেষ করে হাঁপানের জন্য। এলার্জিজনিত কারণে জন্য দিনে একবার গ্রহণ করা যেতে পারে এবং তার দিনে বা রাতে যে কোন সময় হতে পারে। এই ঔষধ খাওয়ার এক থেকে তিন ঘন্টা পরে এর কার্যকারিতা অনুভব হতে পারে। ২৪ ঘন্টা স্থায়ী থাকে তবে প্রতিদিন একই সময়ে এই ওষুধ সেবন করার সবচেয়ে উত্তম। কেননা প্রতিদিন একই সময় এই ঔষধ সেবন করলে তার শরীরে খুব ভালো কাজ করে।
হাঁপানি বা এলার্জিজনিতে উপসর্গ প্রতিরোধে মোনাস ১০ ট্যাবলেটটি প্রতিনিয়ত এবং নিয়মিত গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। যতদিন না পর্যন্ত আপনি আরোগ্য লাভ করবেন এমনকি আরোগ্য লাভের পরেও কয়েকদিন এই ট্যাবলেটটি ঠিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারেরা। সব থেকে ভালো হয় এই ট্যাবলেট সেবনের পূর্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তাছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক বা শিশুদের জন্য মোনাস ৫ মিগ্রা ঔষধ এবং মোনাস ৪ মিগ্রা রয়েছে। শিশুদের এই ওষুধটি সেবনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এর সঠিক ডোজ নিশ্চিত করুন।

মোনাস ১০ ব্যবহারের সর্তকতা

মোনাস ১০ ব্যবহারের আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিতঃ
মোনাস-১০-কতদিন-খেতে-হয়
  • গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানঃ গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদান কারী মায়েদের ক্ষেত্রে মোনাস ১০ ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং এই ঔষধ গ্রহণ করা উচিত। কারণ এটি গর্ভের শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
  • এলার্জিঃ যদি কোন ধরনের ঔষধের প্রতি অ্যালার্জি থাকে তবে তার চিকিৎসককে জানানো জরুরী। মোনাস ১০ এর কোন উপাদানের প্রতি এলার্জি থাকলে এটি গ্রহণ করা উচিত নয়। ফলে শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • লিভার বা কিডনি সমস্যাঃ যাদের লিভার বা কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের মোনাস ১০ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মোনাস ১০ এ থাকা বিভিন্ন উপাদান লিভার এবং কিডনির সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
  • অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করা হলেঃ যদি রোগী অন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করেন তবে চিকিৎসককে তা জানানো হবে। কারণ মোনাস ১০ কিছু ঔষধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যার ফলে কোন ওষুধই ঠিক মত কাজ করবে না।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারঃ মোনাস ১০ ট্যাবলেট ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে যদি রোগী শিশু হয়। কারণ বাচ্চাদের ডোজ ও মাত্রা আলাদা হয়ে থাকে।

মোনাস ৫ খাওয়ার নিয়ম

মোনাস ৫ একটি বাচ্চাদের মুখে খাওয়ার ওষুধ। ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সে শিশুদের জন্য সাধারণত বোনাস ৫ ঔষধি দেওয়া হয়। রাতে খাবারের পর এই ওষুধটি সেবন করা সব থেকে ভালো। তার কারণ এই ওষুধে প্রধান উপাদান মন্টেলুকাস্ট রাতে সব থেকে বেশি ভালো শোষণ হয়। এই ঔষধটি বাচ্চাদের জন্য বেশ কার্যকরী। এই ঔষধটি হাঁপানি লক্ষণগুলি প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। মোনাস ৫ ট্যাবলেট বার সিরাপ বাচ্চাদের জন্য উপকারী।

মোনাস ৫ ট্যাবলেটটি পানি দিয়ে গিলে খাওয়া উত্তম। প্রতিদিন একই সময় এই ঔষধটি খাও অত্যন্ত জরুরী। তবে ৬ বছরে কম শিশুদের জন্য মোনাস ৪ ট্যাবলেট চুষে খাওয়া বা পানি দিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে মোনাস ৫ খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সব থেকে ভালো।

মোনাস ১০কি এন্টিবায়োটিক

মোনাস ১০ কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ নয়। এটি একটি লিউকোট্রিন রিসেপ্টর এন্টাগনিস্ট যা সাধারণত শ্বাসনালী প্রবাহ কমায় এবং এলার্জি সমস্যা সমাধান করে। অ্যাজমা হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা মোনাস ১০ ব্যবহার করা হয়। যে কোন ঔষধের দোকানে পাওয়া যায়। কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধি দীর্ঘমেয়াদি সেবন করা উচিত নয়। কিন্তু মোনাস ১০ একটি দীর্ঘমেয়াদী ঔষধ যাহা হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা সমাধান করে থাকে।

মন্তব্যঃ মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়

মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়, আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ছিল এবং মোনাস ১০ এর কাজ কি। যা আপনারা পুরো আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। তাছাড়া মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম, কাজ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে ও আমরা অবগত হতে পেরেছি।

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকুন। আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার বিশেষ কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। 250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url