ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার, ঠিক করতে হবে
MD ABIR HOSSEN
27 Aug, 2025
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার, ডায়াবেটিস থাকলে খাওয়ার জন্য সেরা খাবারগুলি খুঁজে বের করা কঠিন কিছু নয়।
সবকিছু সহজ রাখার জন্য আপনার প্রধান লক্ষ্য রাখা উচিত, আপনার রক্তে শর্করা
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ কেমন। হৃদরোগের মতো ডায়াবেটিসের জটিলতা প্রতিরোধের
সাহায্য করে এমন খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং পরিচালনায় আপনার খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করতে পারে। এই সম্পর্কে নিচের আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরা হল। চলুন
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং ডায়াবেটিস এর গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে
নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার হচ্ছে, আপনি যে ধরনের খাবার নিয়মিত খেয়ে থাকেন আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা উপর
বিরাট প্রভাব ফেলে থাকে। সবার ক্ষেত্রে এটা ঠিক কিন্তু যদি আপনার ডায়াবেটিস
থাকে তাহলে সম্ভবত আপনি এটা অন্য কারো চেয়ে ভালো জানেন। যখন আপনি ক্যালোরি
যুক্ত খাবার খান আপনার জন্য প্রয়োজন হয় না বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট তখন
আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সাথে সাথে নিয়মিতভাবে উচ্চ রক্তচাপ
শর্করার মাত্রা স্নায়ু, কিডনি এবং হার্টের ক্ষতির মত গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদী
সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার
পছন্দ করতে পারেন। নিয়মিত সময়ে খেতে পারেন এবং আপনার খাদ্য বাসের উপর নজর
রাখতে পারেন। আপনি যখন নিয়মিত সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তখন আপনি আপনার
শরীরকে এটি তৈরি করে আরো ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষণ দেন। এটি
আপনাকে আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হওয়ার
সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করবে।
বৈচিত্র্যময় খাবার খেতে হবেঃ আমরা সাধারণত প্রতিদিন এ কয় ধরনের খাবার
খেয়ে থাকি আমরা যদি প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে নানান রকমের
ফলমূল শাকসবজি শ্বেতসার জাতীয় খাবার চেষ্টা করি তাহলে আমরা উপকৃত হব।
কিছু খাবারে নাম হল যেমনঃ লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত ও আলু।
যেসব খাবার কমিয়ে দিবেনঃ চর্বি জাতীয় খাবার, লবণ, চিনি এই সব ধরনের
খাবার পরিমাণে কমিয়ে দিতে হবে। আপনার যতটুকু না খেলে নয় ততটুকুই
খাবেন।
সঠিক সময় খাবার খাবেনঃ আপনাকে প্রতিদিনের সকালের নাস্তা দুপুরের ও
রাতের খাবার ঠিক সময় মত খেতে হবে। কখনো যেন কোন বেলার খাবার যেন বাদ না
পরে।
খাবারের তালিকায় ডায়াবেটিস রোগী যা যা খাবেন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সেরা খাবার হচ্ছে সুষম এবং নিয়মিত খাবার
খাওয়া। যা আমাদের শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে। কখনোই কোন একটি খাবার কে সেরা বলা কঠিন। প্রতিটি মানুষের শরীরের
শর্করার মাত্রা একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে এজন্য কোন খাবারেই সেরা বলা
যাবে না। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের মানবদেহের জন্য
ডায়াবেটিসের সময়
তা খেলে অনেক কাজে দিবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার
হলঃ
প্রোটিনঃ প্রোটিন আমাদের শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
থাকে। যেসব প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে যেসব প্রোটিন জাতীয় খাবার
খেতে হবে চর্বি বিহীন মুরগির মাংস যেমন টার্কি। যেসব প্রোটিন জাতীয়
খাবার খেতে হবে চর্বি বিহীন মুরগির মাংস যেমন টার্কি। চর্বিযুক্ত মাছ
রুই, কাতলা, পাঙ্গস এইসব মাছ খেতে হবে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ ফাইবার আমাদের রক্তে শর্করা শোষণ রোধ করে এবং
দীর্ঘক্ষণ ধরে পেট ভরা রাখে। যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সাহায্য
করে। আপেল, কমলা, পেয়ারা কম গ্লাইকোসিস জাতীয় খাবার সেবন করতে হবে।
ফলের রস না খেয়ে গোটা ফল খেতে হবে তাহলে এতে ফাইবার বেশি থাকে।
ডায়াবেটিস হলে যেসব খাবার সীমিত খেতে হবে
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ এ রোগ হলে মানবদেহের শরীরে একের পর এক রোগ ধরা
পড়ে। কারণ ডায়াবেটিকস অনেক মারাত্মক একটি রোগ এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে
আমাদের অনেক ধরনের নিয়ম মেনে চলতে হবে খাবার, চলাফেরা এইসব ঠিকঠাক করতে হবে
তাহলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে আর ডায়াবেটিসের সময় যেসব খাবার
সীমিত পরিমানে খেতে হবে তা হলোঃ মিষ্টি, কেক সীমিত পরিমানে খেতে হবে। সাদা
ভাত সাদা আটা এইসব ধরনের খাবার পরিহার করতে হবে। লবণ যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে
না এতে করে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
ব্যায়াম ও হাঁটার নিয়মাবলী
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়ম মত ব্যায়াম করতে হবে এবং হাঁটতে হবে। কারণ
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ এই রোগ শরীরে বাধা বাসলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া
অনেক কঠিন হয়ে যায়। এজন্য ডাইবেটিস রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের
নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে হবে খালি
পায়ে তাহলে অনেক উপকার হবে। এভাবে নিয়ম মতন প্রতিদিন সকালে হাঁটতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ সময় নিয়মিত ব্যায়াম করলে
ঝুকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ডায়াবেটিস হলে নিম পাতার উপকারিতা
যুগ যুগ ধরে ডায়াবেটিস রোগে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসতেছে। নিম পাতায় এমন
কিছু উপাদান রয়েছে যা মানবদেহের জন্য অনেক উপকার এবং নিম পাতা ডায়াবেটিসের
অনেক কাজে আসে। নিম পাতার প্রধান উপকারিতা হলো এটি রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য
করে। গবেষণা অনুসারে নিম পাতা আমাদের শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলি সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে।এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে। নিমের মধ্যে আন্টি
হাইপারগ্লাইসেমিক থাকে যা রক্তের অতিরিক্ত চিনি কমাতে সাহায্য করে থাকে। যেভাবে
নিমপাতা ব্যবহার করে খেতে পারেন, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চার পাঁচটা কাঁচা
নিম পাতা নিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে তাহলে এটা শরীরের জন্য অনেক কার্যকরী এবং
উপকারিতা।
ডায়াবেটিস রোগে মরিঙ্গা পাউডারের উপকারিতা
মরিঙ্গা পাউডার কি এটা হয়তো আমরা অনেকেই চিনি না। সাধারণত আমরা মরিঙ্গার কে যা
বলে চিনি সেটা হচ্ছে সজনে গাছ। সজনে গাছের পাতা সজনে গাছের ছাল সজনে ইত্যাদি
সবকিছুই অনেক উপকারে আসে ডাইবেটিসের জন্য। ডায়াবেটিস হলে মরিঙ্গা পাউডার
কিভাবে খাবেন এবং কিভাবে মরিঙ্গা পাউডার তৈরি করবেন তা নিম্নরূপঃ
মরিঙ্গা পাউডার তৈরি করতে হলে প্রথমত আপনাকে সজনে গাছের পাতা নিয়ে রোদে শুকাতে
হবে এবং সেই পাতা যখন রোদে শুকিয়ে যাবে তারপর রোদে শুকানো পাতা গুঁড়ো করতে
হবে। এবং পাউরার গুড়া করা হয়ে গেলে সেই পাউডার প্রতিদিন নিয়ম মত করে তিন চার
চামচ মরিঙ্গা পাউডার এক গ্লাস পানিতে নিয়ে প্রতিদিন খাইতে হবে। অবশ্যই হালকা
গরম পানিতে মিশিয়ে পাউডার খাবেন তাহলে ডায়াবেটিস থেকে ইনশাআল্লাহ আস্তে আস্তে
মুক্তি পেয়ে যাবেন।
মরিঙ্গা পাতায় যে সব পুষ্টি রয়েছে, মরিঙ্গা পাতায়
ভিটামিন খনিজ এবং প্রোটিন রয়েছে। মরিঙ্গা পাউডারে ভিটামিন এ,বি, সি আয়রন,
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এইসব প্রোটিন রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়
প্রোটিনের অভাব দেখা দেয় যদি প্রোটিনের অভাব দেখা দেয় তাহলে ডায়াবেটিস
এর রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার মরিঙ্গা পাউডার খেলে মরিঙ্গা পাউডার তা পূরণ
করতে সাহায্য করে।
ডাইবেটিস রোগে করলার উপকারিতা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলা বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান। করলা তেতার জন্য অনেকেই
পছন্দ না করলেও করলা ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে উপকারিতা ভাবে উল্লেখিত হয়েছে করলা তেতো এর জন্য অনেক উপকার।
করলা মানব দেহের রক্ত পরিষ্কার করতে অনেক উপকারে আসে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের
জন্য অনেক উপকারী। রক্তের কোলেস্টর এর মাত্রা কমে গেলে বা হৃদরোগের সমস্যা হলে
করলা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
এর ফলে ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। করলাতে অনেক পরিমাণে ফাইবার কম থাকে এবং
করলা খেলে পেট ভরা থাকে এবং করলা নিয়মিত খাওয়ার পরে আপনার অতিরিক্ত খাবার
খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। যা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডাইবেটিস রোগে গাজরের উপকারিতা
ডায়াবেটিস রোগের জন্য গাজর অনেক উপকারী একটি সবজি। গাজরে মিষ্টির প্রভাব
থাকলেও গাজর ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী একটি খাদ্য। গাজরের পুষ্টিগুণ এর দিক
বিবেচনা করলে ডায়াবেটিস এর জন্য নিরাপদ এবং উপকারী। পরিমাণ মতো গাজর খেলে
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এটি অনেক উপকারী। গাজরে আশেঁ ভরপুর থাকে। গাজর রক্তের
শর্করার পরিমাণ আস্তে আস্তে কমে যায়। ফলে গাজর খেলে হঠাৎ করেই গ্লুকোজের
মাত্রা বাড়ে না। গাজর মানব দেহের দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
গাজর
ওজন নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের সমস্যা হওয়ার
প্রবণতা বেশি থাকে। যদি কেউ নিয়ম মত গাজর খেয়ে থাকে তাহলে চোখের সমস্যা হতে
মুক্তি পাবে। গাজরে উচ্চ পরিমাণের ভিটামিন রয়েছে যা খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রবণতা
বৃদ্ধি পায়। সালাদ হিসেবে বা আপনি গাজর খেতে পারেন। রান্না করেও খেতে পারেন
যেভাবে খাবেন খুব বেশি তেল বা মসলা না দিয়ে রান্না করবেন তাহলে এটি অনেক
উপকার। চাইলে আপনি গাজরের জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিসের জন্য পালং শাক অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। পালং শাকে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে
এবং ডাইবেটিকস এর জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। পালং শাকের প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার থাকে যা মানব দেহের হজমকে ধীর করে দেয়। যা রক্তের গ্লুকোজের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে পালং শাক অনেক উপকারী।
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে।
ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন এর জন্য সংবেদনশীল এবং ডাইবেটিস উন্নত করে। পালং শাক কম
ক্যালরিযুক্ত এবং অল্প পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ
পেট ভরা থাকে। যা মানব দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পালং শাক
যেভাবে খাবেন, কাঁচা পালং শাক সালাদের সাথে মিশে খেতে পারেন। ভাবি অথবা তরকারি
মাধ্যমে ও পালং শাক খাওয়া যায়। যেভাবে পালং শাক খাবেন অল্প পরিমাণে তেল এবং
মসলা দিয়ে এটি রান্না করে খাবেন।
শেষ কথাঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার, ডাইবেটিকস একটি বিপাকীয় রোগ। যেখানে
মানব দেহের শরীরে ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা। ইনসুলিন হচ্ছে হরমোন যা মানব দেহের
রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ডাইবেটিকস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ এ
রোগ হলে সঠিক নিয়ম মত খাবার চলাফেরা করলে ওই রোগ থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি
পাওয়া সম্ভব। এজন্য আমাদের নিয়মিত খাদ্যাভাস এবং ব্যায়াম করতে হবে এবং
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে চললে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে প্রোটিন এবং ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে
হবে যাতে করে আপনার ডায়াবেটিকস কন্ট্রোলের মধ্যে থাকে। কিভাবে আপনার
ডায়াবেটিস ভালো করবেন তা উপরের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন কিভাবে কি করতে হবে চলুন আর দেরি না করে আর্টিকেলটি
পড়ে আসি। 250510
mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url