সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায়

সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায় নিয়ে আজকের আয়োজন। প্রতিটি বাবা মা চায় তাদের সন্তান যেন সমাজের বুকে আদর্শ সন্তান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এই উদ্দেশ্য পুরনে এগিয়ে যাওয়ার উপায় হলো ধর্মীয় দিক। ধর্মীয় দিক থেকে সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার,

সন্তানকে-নামাজে-অভ্যস্ত-করার-ইসলামিক-উপায়

ইসলামিক উপায় জানা থাকলে সেই সন্তান আদর্শ মানুষ হবে। সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় তার ও ভূমিকা থাকবে। ইসলামের মৌলিক স্তম্ভের গুলির একটি হল নামাজ। তাই প্রতিটি মানুষের নামাজ পড়া ফরজ। আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

সূচিপত্রঃ সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায়

সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায়

সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায় নানা রকম হতে পারে। এটি অনেকটা নির্ভর করছে পরিবেশের এবং পরিস্থিতির উপর। এছাড়াও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ইসলামিক বিশেষ কিছু পদ্ধতিকে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে প্রতিটি মানুষকে সাত বছর বয়স থেকে নামাজের ট্রেনিং শুরু করানো এবং ইসলামিক বিশেষ কিছু পদ্ধতি রয়েছে এবং আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিছু নির্দেশনাও রয়েছে কিভাবে সন্তানকে তথা একজন মানুষকে নামাজে অভ্যস্ত করানো যায়।

কেননা নামাজই একমাত্র অন্যতম ইবাদত যেটির মাধ্যমে একজন মানুষ সকল প্রকার পাপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারে এবং নামাজই আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার অধিক কার্যকরী মাধ্যম। তাই আপনার সন্তানকে যদি আপনি নামাজে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন তাহলে সন্তান ও নানারকম পাপ থেকে বাঁচতে পারবে। আজকের কনটেন্টে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব আপনার সন্তানকে নিয়মিত নামাজে অভ্যস্ত করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। তাই ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ কনটেন্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

সাত বছরে অভ্যাস করুন

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হাদীস শরীফে বর্ণনা করেন, তোমরা তোমাদের সন্তানকে সাত বছর বয়সে নামাজের আদেশ দাও। অর্থাৎ একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করার পরে বাবা-মার প্রথম দায়িত্ব হল সে যখন সাত বছর বয়সে পদার্পণ করে তখন থেকেই তাকে নামাজের নির্দেশনা দেওয়া। এর কারণ হলো শুরু থেকে যদি নামাজের নির্দেশনা না দেওয়া হয় বড় হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ যখন তার বয়স বাড়বে তখন নামাজের নির্দেশনা দিলে সেটি কাজে নাও লাগতে পারে। যখন একজন বাচ্চা ছোটবেলা থেকেই নামাজের কথা শুনে বড় হবে,
প্রথম অবস্থায় সে নামাজ পড়তে না চাইলেও একসময় ঠিকই সে নামাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। অর্থাৎ একই কথা ব্রেইনের ভেতরে ইনপুট হতে থাকলে সে একসময় আগ্রহবশত নামাজ শুরু করতে পারে। অথবা নামাজের কথা বারবার শোনার মাধ্যমে আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করতে পারে যার ফলে সে নামাজে অভ্যস্ত হতে পারে। সেজন্যই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাত বছর বয়স থেকেই নামাজের আদেশ দিয়েছেন। তাই আপনার সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করতে চাইলে ছোটবেলা থেকেই নামাজের নির্দেশনা দিন।

উৎসাহ ও প্রশংসা প্রদান

নামাজ ব্যতীত যেকোনো স্বাভাবিক কাজেও অর্থাৎ ইবাদত বন্দেগী ছাড়া অন্যান্য কাজেও উৎসাহ প্রদান একজন মানুষকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। কারণ উৎসাহ প্রদান করা হলে মানুষটির ভেতরে অনুপ্রেরণা যোগান হয়। এবং উৎসাহ পাওয়ার ফলে সে সঠিক পথে রয়েছে সেটি সে নিশ্চিত হয়। এর পাশাপাশি উৎসাহ পাওয়ার পর তার ভেতরে সাহস কাজ করে। অর্থাৎ উক্ত কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সে ভেতর থেকে সাহস পায়। ইবাদত বন্দেগির ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।
সন্তানকে-নামাজে-অভ্যস্ত-করার-ইসলামিক-উপায়
যদি আপনার সন্তানকে আপনি উৎসাহ প্রদান করেন তাহলে সে নামাজের প্রতি আগ্রহী হবে। পরিশেষে সে একসময় নামাজ পড়তে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। যখন সে নামাজ পড়া শুরু করবে তখন আপনার উচিত হবে না তার নামাজের ভুল ধরা। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় যখন সে অভ্যস্তই হয়নি তখন যদি আপনি তার নামাজের ভুল ধরেন তাহলে সে হীন্যমনতায় ভুগবে। যার ফলে সে আবেগের বশে নামাজ ত্যাগ করে ফেলতে পারে। সে যে ভালো কাজটি শুরু করেছে তার জন্য তাকে প্রশংসা প্রদান করুন।

ছোট দায়িত্ব প্রদান করুন

এই ধাপে আলোচনার শুরুতেই বলে দেওয়া উচিত যে কোন মানুষকে কোন বিষয়ে অভ্যস্ত করতে হলে তাকে সেই বিষয় সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। অর্থাৎ যদি কোন মানুষ আইন সম্পর্কিত কোনো বিষয় জানতে চায় বা আগ্রহী হয় তাহলে তার উচিত হলো আইনজীবীদের সাথে মেলামেশা করা। অথবা তার উচিত হলো আইন সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বেশি বেশি নিজেকে জড়িয়ে রাখা। ঠিক একইভাবে আপনার সন্তানকে নামাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত করার মাধ্যমে তাকে নামাজে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন। সেজন্য তাকে ছোট ছোট দায়িত্ব দিতে থাকুন। যেসব দায়িত্বগুলো তাকে প্রদান করবেন। এমন কিছু দায়িত্ব সম্পর্কে নিজে উল্লেখ করা হলোঃ

  • নামাজের আগে তাকে জায়নামাজ বিছাতে বলুন। এতে নামাজের প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে।
  • ওয়াক্ত হলে তাকে আজান দিতে বলুন।
  • আপনার অথবা তার অজুর জন্য পানি আনতে বলুন।
  • জামাতে নামাজ পড়ার সময় কাতার ঠিক করতে বলুন।
যখন সে এই ছোট ছোট দায়িত্ব গুলো পালন করবে তখন তার মধ্যে সেই দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন হবে। এবং তার মস্তিষ্কে সেই বিষয়গুলো ঘোরাফেরা করবে। অর্থাৎ তাকে নামাজ পড়তে হবে, ওয়াক্ত হলে আজান দিতে হবে, ওযু করতে হবে, নামাজের আগে তাকে জায়নামাজ বিছাতে হবে এই দায়িত্বগুলোতে সে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আস্তে আস্তেই নামাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। তার বয়স অনুযায়ী তাকে দায়িত্ব প্রদান করুন। যদি সে ছোট হয়ে থাকে তাহলে তাকে এমন ছোট ছোট দায়িত্ব দিন এবং যদি সে বয়সে বড় হয় তাহলে ধর্মীয় সম্পর্কে তাকে বড় বড় দায়িত্ব দিন। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করে তুলুন।

ইসলামিক পরিবেশ স্থাপন করুন

বাড়িতে ইসলামিক পরিবেশ স্থাপন করার মাধ্যমে আপনার সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করতে পারেন। আপনার সন্তান যখন এমন একটি পরিবেশে বড় হবে যে পরিবেশটা ইসলামিক পরিবেশ, তখন সে ইসলামিক ধারণার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। যার কারণে ইসলামের ভিত্তি নামাজ হওয়ায় সে নামাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। সেজন্য আপনার বাড়িতে ইসলামিক পরিবেশ স্থাপন করুন। সেজন্য নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আপনি নিজে আদায় করুন এবং পরিবারের সদস্যদের আদায় করার জন্য উদ্ভূত করুন।
এর পাশাপাশি নিয়মিত হাদিস চর্চা করুন। নিজে যেমন হাদিস অধ্যয়ন করবেন সে হাদীসগুলো পরিবারের সদস্যদের কেও শোনান। নামাজ সম্পর্কিত হাদিস গুলো চর্চা বাড়িয়ে দিন। কুরআনের আয়াত থেকে কোড করে নামাজ সম্পর্কিত আয়াতগুলো বেশি বেশি পরিবারের সদস্যদের শোনান। তালিমের ব্যবস্থা করুন। প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজের পর অথবা বিকেলে আসরের নামাজের পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইসলামিক আলোচনায় মগ্ন থাকুন। এভাবে আপনার পরিবার একটি ইসলামিক পরিবার হিসেবে গড়ে উঠবে।

নিয়মিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নিয়মিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করা বলতে বোঝাচ্ছে আপনার প্রতিদিনের নামাজ আদায় করা। যখন আপনার সন্তান দেখবে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত নামাজ আদায় করছেন তখন আপনার সন্তানের ভেতরে এর প্রতিক্রিয়া এবং প্রভাব বিস্তার দেখা যাবে। তখন আপনার সন্তান বুঝে যাবে যে আপনি যেহেতু নামাজ আদায় করছেন তারও নামাজ আদায় করা প্রয়োজন। মনোবিজ্ঞানীদের ভাষায় অনুকরণ শব্দটি বেশ পরিচিত। অনুকরণ শব্দের অর্থ হল এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির হুবহু অনুসরণ করা।

ছোট বাচ্চারা বিশেষ করে বাবা মায়ের অনুকরণ করে থাকে। বাবা মা যে রূপ চালচলন ও আচরণ করে তারাও ঠিক তেমনি করে থাকে। মনের অজান্তেই তারা এই বিষয়গুলি বাবা-মার কাছে থেকে নিয়ে নেয়। কাজেই আপনি যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাদের সামনে আদায় করবেন তখন তারাও এই বিষয়টি মনের অজান্তেই নিজেদের ভেতর নিয়ে নেবে। অর্থাৎ নিজের অজান্তেই তারা নামাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করুন।

মসজিদে সঙ্গ দেয়ার মাধ্যমে

আপনার সন্তানকে নিয়মিত মসজিদে নিয়ে যান। যখন আপনার সন্তানকে নিয়মিত মসজিদে নিয়ে যাবেন তখন তার নামাজের প্রতি গুরুত্ব বাড়বে। মসজিদে সবাইকে নামাজ পড়তে দেখে সে বুঝে যাবে তাকেও নামাজ আদায় করতে হবে। প্রথম অবস্থায় অন্তত তাকে জুমার দিন একবার করে মসজিদে নিয়ে যান। জুমার নামাজে সকল মুসলমান মানুষই নামাজ পড়তে আসেন। আপনার সন্তান যখন তাদের দেখবে তখন তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হবে। তখন সে বুঝে যাবে তার নামাজ আদায় করাটা কতটা জরুরী।
যে কোন জিনিস হাতে কলমে করে দেখাটা অধিক শ্রেয়। যখন আপনার সন্তানকে নিয়মিত মসজিদে নিয়ে যাবেন তখন মসজিদের খুতবা, জামাতে কাতার ঠিক করা, ইকামত, আজান ইত্যাদি বিষয়ের সাথে সে যখন অভ্যস্ত হয়ে যাবে তখন তার মনে নামাজের জন্য বিশেষ জায়গা তৈরি হয়ে যাবে। পরিশেষে সে আস্তে আস্তে নামাজ পড়তে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। তাই নিয়মিত আপনি মসজিদে যাওয়ার পাশাপাশি আপনার সন্তানকেও আপনার সঙ্গে মসজিদে নিয়ে যান। এটিও আপনার সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায়।

উপমা ব্যবহার করার মাধ্যমে

ছোট বাচ্চারা সবসময় গল্প ও উপমা বেশি পছন্দ করে। ছোট বাচ্চারা যেহেতু গল্প শুনতে বেশি পছন্দ করে সেহেতু তাদেরকে ইসলামিক এমন গল্প শোনান যেখানে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। যেমন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে ইসলাম ও নামাজের জন্য নিজের জীবন বারংবার বাজি রেখেছেন সেই উপমাগুলো গল্প আকারে তাদের সামনে উপস্থাপন করুন। এই গল্পগুলোতে তারা বেশ প্রভাবিত হবে। এবং সে নিয়মিত নামাজে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

উপমা গুলো তাদের সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করুন যেন তারা সেগুলো সহজেই আয়ত্ত করে এবং বিশ্বাস করে এর পাশাপাশি তাদের কাছে সেটা আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। প্রতিটি নবীর জীবনী তাদের সামনে পড়ে পড়ে শোনান। কারণ আল্লাহর পাঠানো প্রতিটি নবী নামাজের গুরুত্ব বিশেষভাবে দিয়ে গেছেন। এমন সব ভিডিওতে তাদের আসক্ত করে তুলুন যেসব ভিডিও ইসলামিক। যেমন কাবা ঘরের ভিডিও এবং নামাজ পড়ার ভিডিও। এভাবে আপনার সন্তানকে নামাজের জন্য অভ্যস্ত করুন।

আল্লাহর কাছে দোয়া করুন

আপনি আপনার সন্তানের মঙ্গল কামনায় এবং তাকে নামাজের জন্য অভ্যস্ত করতে আল্লাহর নিকট নিয়মিত দোয়া করুন। একমাত্র দোয়ার মাধ্যমেই বিশেষ ক্ষেত্রে ভাগ্য পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ দোয়ার ক্ষমতা এতটাই যে আল্লাহ পরিশেষে ভাগ্যই পরিবর্তন করে দেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পদ্ধতিতে আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করুন। বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ এর পর দোয়া করুন। এই সময় দোয়া বেশি বেশি কবুল হয়। দোয়া করার সময় সবর অনুশীলন করুন এবং দোয়া করুন।
সন্তানকে-নামাজে-অভ্যস্ত-করার-ইসলামিক-উপায়
হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া সাল্মলাম আল্লাহর নিকটে দোয়া করেছিলেন যে, হে আমার রব আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে নামাজ কায়েমকারী বানাও। আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি সূরা ইব্রাহীমে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর মানে হলো আল্লাহর আপনার সন্তানদের জন্য দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। কুরআনের এই দোয়াটি নিয়মিত আল্লাহর নিকট করুন। এই দোয়াটি সন্তানকে ফজরের পর বুকে টেনে নিয়ে আল্লাহর নিকট করুন। এই পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে অর্থাৎ দোয়া করার মাধ্যমে আপনার সন্তানকে নামাজের জন্য অভ্যস্ত করে দিতে পারবেন।

মন্তব্যঃ সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায়

সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আজকের কনটেন্টে বর্ণনা করা হয়েছে। নিজের সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার বিষয়টি একদিনেই সম্ভব হয়ে যাবে না। সেজন্য নিজেকে চেষ্টা করতে হবে এর পাশাপাশি ধৈর্য ধরতে হবে ও দোয়া করতে হবে। নিয়মিত নামাজ নিজে আদায় করতে হবে এবং আপনার সন্তানকে নামাজ আদায়ের জন্য তাগিদ দিতে হবে। এমন পরিবেশ তার সামনে তৈরি করতে হবে যেন সে নিজে থেকেই নামাজ পড়তে চায়। এবং নামাজে অভ্যস্ত হয়।

আজকে আমাদের কনটেন্টে দেখানো উপায় সমূহ অনুসরণের মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানকে নামাজের জন্য অভ্যস্ত করতে পারবেন। এবং এই কাজটি করার জন্য প্রথমত আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং আপনাকেই ধৈর্য ধরতে হবে। অধৈর্য হয়ে অত্যাধিক শাসন যদি সন্তানের উপর করেন তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজেই ধৈর্য ধরুন এবং আমাদের কনটেন্ট গুলো নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হন। পাশাপাশি আপনার পরিচিতজনদের কাছে এই কনটেন্টটি শেয়ার করুন।250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url