কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক, প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা ও রয়েছে। ঠিক তেমনি কোয়েল পাখির ডিমের কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কোয়েলের ডিম সাধারণত নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হলেও কিছুক্ষেত্রে এর কিছু খারাপ দিক
কোয়েল-পাখির-ডিমের-ক্ষতিকর-দিক
দেখা যেতে পারে। কোয়েলের ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কোয়েলের ডিমের এলার্জি হতে পারে এবং কাঁচা ডিমের সাদা অংশে থাকা অ্যাভিডিন নামক প্রোটিনের শরীরের বায়োটিক শোষণের বাধা দিতে পারে। আজকের আর্টিকেলে জানাবো কোয়েল পাখি সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক,কোয়েল পাখি ডিম ছোট হলে এর পুষ্টিগণ অনেক বেশি। এতে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমাণ পাওয়া যায়। কোয়েল পাখির ডিম নিঃসন্দেহে পুষ্টিকর, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ছোট ছোট ডিম দেখতে বেশ মজা আর পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। কোয়েল পাখির ডিমের কিছু ক্ষতিকর দিক আছে তাই কোয়েল পাখি ডিমের গুনাগুন জানার পাশাপাশি কোয়েল পাখির ডিম এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। আজ আমরা কোয়েল পাখির ডিমের কিছু ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করবঃ
  • উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রাঃ কোয়েল পাখি ডিমের কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। একটি ডিমে প্রায় ৮৪৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। যা দৈনিক চাহিদা তুলনায় অনেক বেশি। বেশি পরিমাণে কোয়েলের ডিম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যারা হৃদরোগে ভুগছে তাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
  • এলার্জির সমস্যাঃ কোয়েল পাখির ডিম খেলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জি হতে পারে। ডিমে থাকা প্রোটিনের কারণে এই অ্যালার্জি হয়ে থাকে।
  • ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণঃ কাঁচা বা সেদ্ধ কোয়েল পাখি ডিম খেলে সালমোনেলা(Salmonella) নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া পেটের নানা রকম সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • শিশুদের জন্য ঝুঁকিঃ বিশেষজ্ঞ মনে করেন শিশুদের হজম ক্ষমতা দুর্বল থাকায় তাদের কোয়েল পাখির ডিম হজম করতে সমস্যা হতে পারে। ছোট্ট শিশুদের কোয়েলের পাখি ডিম খাওয়ানো উচিত কিনা তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। শিশুদের ডিম খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি ডাক্তার অনুমতি দেয় তবে অল্প পরিমাণে সেদ্ধ ডিম খাওয়ানো যেতে পারে।
  • অ্যাভিডিনের সমস্যাঃ কাঁচা কোয়েলের ডিমের সাদা অংশে অ্যাভিডিন নামক প্রোটিন থাকে এটি শরীরে ( ভিটামিন বি ৭) বায়োটিক শোষণের বাধা দেয়।
  • কিডনির সমস্যাঃ কোয়েল পাখির ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।

কোয়েল পাখি ডিম খাওয়া সঠিক নিয়ম

কোয়েল পাখির ডিম আপনি এমনিতেই অন্যান্য সকল ডিমের মতোই সেদ্ধ, ভাজা, কাঁচা খাওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে খুব সহজে খেতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন খাদ্যের অংশ হিসেবে তিন থেকে পাঁচটি কোয়েল পাখির ডিম খাবার সঙ্গে খেতে পারেন। কোয়েল পাখি ডিমে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমনঃ প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং অ্যামোইনো এসিড থাকার ফলে আমাদের শরীরে প্রায় সকল ধরনের পুষ্টির অভাব পূরণ হয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকারী কোয়েল পাখির ডিম।
কোয়েলের ডিম খাওয়া সঠিক নিয়ম হলো ডিম গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে বা রান্না করে খাওয়া কাঁচা বা অল্প সেদ্ধ করা কোয়েলের ডিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। সাধারণত একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ টি কোয়েল ডিম খেতে পারে। তবে প্রতিদিন না খেয়ে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন খেলে ভালো। যদি উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্ট্রলে সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়া উচিত। কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিতঃ
  • ডিমের খোসা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • ডিমের মধ্যে কোন ফাটল থাকলে বা দুর্গন্ধ থাকলে সেই ডিম খাওয়া উচিত না।
  • গর্ভবতী মহিলারা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের জন্য কাঁচা বা অর্ধ সেদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত নয়।

কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা

সবচেয়ে বেশি গুণে মানে এবং পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ডিম হচ্ছে কোয়েল পাখির ডিম। কোয়েল পাখির ডিম যে কোন বয়সের মানুষের জন্য খাবার উপযোগী। কোয়েলের ডিম কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বরং শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে কোয়েলে ডিম। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলোঃ
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ কোয়েলের ডিমে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরকে পুষ্টিকর এবং সকল চাহিদা পূরণ করতেও সাহায্য করে।
  • জটিল রোগ ভালো করেঃ কোয়েলের ডিমে থাকা বিভিন্ন পুষ্টির উপাদান আমাদের শরীরের জটিল রোগ ভালো করতে ভূমিকা পালন করে। যেমনঃ ফুসফুসের সমস্যা, এজমার সমস্যার, ডায়াবেটিস সমস্যা, পাকস্থলীর সমস্যা, হার্টের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ জনিত জটিল সমস্যার সমাধান করে এই ডিম।
  • শরীর সুস্থ রাখেঃ কোয়েল পাখির ডিম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোগের নিরামক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডায়াবেটিস, এজমা, ফুসফুসের সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়াও কিডনি, লিভার এবং পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বিশেষ কার্যকরী কোয়েলের ডিম।
  • চুলের জন্য উপকারীঃ কোয়েলের ডিমে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান আমাদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বক ভালো রাখেঃ কোয়েলের ডিমে থাকা ভিটামিন বি আমাদের ত্বকে এবং ত্বকের দৃষ্টি শক্তি রক্ষার পাশাপাশি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। যার ফলে আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। 
  • রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কোয়েল পাখি ডিমের থাকা উপাদান আমাদের শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। কোয়েল পাখি ডিমে থাকা অ্যামাইনো এসিড শরীরের নতুন টিস্যু তৈরির করতে সাহায্য করে। যার ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের রাখে। আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখে এবং শরীরের রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি মেলে।

শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

শিশুদের জন্য কোয়েল পাখি ডিমের উপকারিতা ব্যাপক। পৃথিবীতে যত খাদ্যের উপযোগী ডিম রয়েছে তার মধ্যে কোয়েল পাখি ডিমের পুষ্টিগুলো অত্যন্ত বেশি। এতে পুষ্টির পাওয়ার হাউজ বলা হয়ে থাকে। সাধারণত শিশুদের আলাদাভাবে যত্নের প্রয়োজন পড়ে। তাই তারা কোন রকম রোগ জীবাণুর আক্রান্ত না হয়। এই কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগ থেকে বাঁচার উপায়। কোয়েল পাখির ডিম শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নের অত্যন্ত কার্যকরী।
কোয়েল-পাখির-ডিমের-ক্ষতিকর-দিক
এটি ভিটামিন এবং খনিজের এক প্রাকৃতিক উৎস যার মধ্যে রয়েছে আইরন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৬, বি১২, ভিটামিন এ, ও, ই এসব উপাদান শিশুদের হাড়ের গঠন শারীরিক বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক। কোয়েল পাখির ডিম শিশুর প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এবং জন্মগত সমস্যা গুলি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি শিশুর সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করে এবং স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

কোয়েল পাখি ডিমের স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে তা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকর সহায়তা করে। এটি একটি শক্তি চমৎকার উচ্চ যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক চঞ্চলতার জন্য প্রয়োজনীয় সকল রকম পুষ্টি সরবরাহ করে। আপনি যদি আপনার শিশুকে নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন তাহলে তা আপনাদের শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একটি আদর্শ পুষ্টিকর খাবার হবে। যা শিশুর জন্য অনেক বেশি নিরাপদ ও গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিম গর্ভাবস্থায় এক অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার এতে ভিটামিন এবং খনিজ প্রাচুর্য রয়েছে। যেমনঃ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরস ইত্যাদি। এসব উপাদান গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য প্রয়োজনে পুষ্টি সরবরাহ করে। পাশাপাশি শিশুদের জন্মগত সমস্যা প্রতিরোধ করে। কোয়েল পাখি ডিম শিশুর হাড় গঠনে সহায়তা করে। তাই গর্ভাঅবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অনেক বেশি। যা গর্ভস্থ শিশুর বিকাশের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণে অনেক বেশি সহায়তা করবে। গর্ভবতী মায়ের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা সাধারণত বেড়ে যায়।
কোয়েল পাখি ডিমের রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন জমা ও শিশুর জন্য শক্তি চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করবে। গর্ভাবস্থায় ফোলেটের অভাবে অনেক সময় শিশু স্নায়ুর টিউব ডিফেক্ট হতে পারে। যা গর্ভঅবস্থায় শিশুর শারীরিক মানুষের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় সময় হরমোনি পরিবর্তন হয় যার ফলে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোয়েল পাখির ডিমের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হরমোনের স্বাভাবিক রাখে এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। কোয়েল পাখির ডিমের কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে অবস্থায় অনেক বেশি নিরাপদ হয়।

কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের পার্থক্য

কোয়েল পাখির ডিমের সাথে মুরগির ডিমের তুলনা করে দেখা যায় কোয়েল পাখির ডিমের আকারে ছোট এবং মুরগি ডিম আকারে বড়। প্রতিদিন মুরগির ডিম খাওয়ার ফলে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে কিন্তু কোয়েল পাখির ডিম খেলে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিম খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মুরগির ডিমে কোলেস্ট্রলে রয়েছে ৪℅ অপরদিকে কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ১.৪%।

কিন্তু মুরগির ডিম থেকে কোয়েল পাখি ডিমের প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এছাড়া কোয়েল পাখির ডিমের আয়রন রয়েছে তা মুরগির ডিম থেকে পাঁচ গুণ পরিমাণ বেশি। এগুলো ছাড়া ফসফরাস বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। সুতরাং কোয়েল পাখির ডিম অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার এবং দামের সস্তা হয় এটি সবার ক্রয়ের মধ্যে থাকে।

কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে

কোয়েল পাখি ডিমে কি এলার্জি আছে এ বিষয়ে অনেকেই জানে না। কোয়েল পাখি ডিম অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং এলার্জি প্রতিরোধের একটি খাবার। কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে উপস্থিত উপাদান গুলো মানুষের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। বিশেষ করে যাদের সর্দি, কাশি এবং এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য উপযুক্ত। আপনি চাইলে এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন। কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে ওভোমিউকয়েড নামে এক ধরনের প্রোটিন রয়েছে যা এলার্জি প্রতিরোধ করে।

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক, এলার্জি সমস্যা থাকলে কোয়েল পাখি ডিম খেলে এলার্জির লক্ষণ এবং মাত্র কমে যায়। এলার্জি বলতে আমরা সাধারণত চুলকানি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি ত্বকের মধ্যে গোল গোল চাকা চাকা দাগ কে বুঝিয়ে থাকি। এ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনি কোয়েল পাখি ডিম খেতে পারেন। এ ধরনের এলার্জিজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা কোয়েল পাখি ডিমের খায় তাদের এলার্জির মাত্রা কম এবং নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি হয়

কোয়েল পাখি ডিম খেলে কি হয় এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আপনারা ধারণা পেয়েছেন। যদি আপনি এই পোস্টটি পড়েন তাহলে বুঝবেন কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি হয়। কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। একজন মানুষের শরীরে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে কোয়েল পাখির ডিম। প্রতিটি কোয়েল পাখির ডিমের প্রায় ১৪ ক্যালোরি থাকে। যার শরীরকে অতিরিক্ত ওজন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের ঠান্ডা লাগা যোনিতে সমস্যা হয় কোয়েল পাখি ডিম খেলে তা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
কোয়েল-পাখির-ডিমের-ক্ষতিকর-দিক
কোয়েল পাখি ডিম এলার্জি প্রতিরোধক যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। কোয়েল পাখি আকারে ছোট এবং ডিম গুলোও ছোট তবে পুষ্টিগুণ অত্যন্ত বেশি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি বিভিন্ন শারীরিক পুষ্টি চাহিদার ঘাটতি পূরণ করার জন্য কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন। এতে উপরে উল্লেখিত সকল উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যা হলো বেশি বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি খাওয়ার ফলে আপনার অন্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

কোয়েল পাখির মাংস খাওয়ার উপকারিতা

শরীরের প্রধান খাদ্য উপাদানের মধ্যে আমিষ বা প্রোটিন ও অন্যতম। আমিষে দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রোটিন অর্থাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোয়েল পাখির মাংস। কোয়েল পাখির মাংস পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি খাবার। এটি সুস্বাদু এবং বিভিন্ন শারীরিক উপকারিতার জন্য জনপ্রিয়। কোয়েলের মাংসে পুষ্টিকরণ সমৃদ্ধ যা শরীরকে বিভিন্নভাবে উপকার করে। এটি হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা থেকে শুরু করে ত্বকের উজ্জ্বলতা করা পর্যন্ত নানা কাজের সাহায্য করে।
তবে যে কোন খাবারের মতোই পরিমিত পরিমাণ এবং সঠিক উপায় গ্রহণ করাই ভালো। কোয়েলের মাংসে প্রোটিনের মাত্রা অনেক বেশি। প্রোটিন শরীরের কোষ গঠন, পুনর্গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্রীড়াবিদ এবং বডি বিল্ডারদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। কোয়েলের মাংস থাকা, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং কম কোলেস্টরল হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

মন্তব্যঃ কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক জানা থাকলে সঠিকভাবে এর উপকারিতা নেওয়া যায়। প্রতিদিন কোয়েল পাখির ডিম কতটা খাওয়া যায় তা মেপে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে যাদের বিশেষ শারীরিক সমস্যা আছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আর্টিকেলটি পরে আপনি কোয়েল পাখির ডিম এর ক্ষতিকর দিক। প্রতিদিন ডিম খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করছি কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকরদিক সম্পর্কে সকল প্রকারে ধারনা পেয়েছে। আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি সামান্য উপকারে আসে তাহলে শেয়ার করতে পারেন। সঠিক তথ্য জানতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ। 250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url