স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড
স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড কি অনেকেই এই ব্যাপারে জানতে চান। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার্থীদের জন্য আয়ের উৎস হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে টিকে থাকার জন্য গাইড দরকার।
যখন বিড হবে সঠিক প্রফেশনাল এবং ক্লাইন ফ্রেন্ডলি তখনই কেবল হাজারো ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে আপনি আলাদা হবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন হওয়ায় অনেকেই বাজেট বোঝেন না। আপনাদের জানিয়ে দিব আপনি কিভাবে বিট করবেন।
পেজসূচিপত্রঃ স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড
- স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড
- সঠিক দক্ষতা বাছাই করুন
- একটি কোর্স শেষ করুন
- নিজের প্র্যাকটিস রুটিন বানান
- পোর্টফোলিও তৈরি করে ফেলুন
- ফাইবার প্রোফাইল উন্নত করুন
- সঠিকভাবে আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলুন
- ছোট কাজ থেকে শুরু করুন
- ক্লায়েন্টের সাথে ভালো ব্যবহার করুন
- মন্তব্যঃ স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড
স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড
স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড জানতে হলে
প্রথমে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে বিড করতে হয়। অনেক বেকার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন
পূরণের পথ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু যদি সঠিকভাবে গাইড না পান
তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে করতে এসে শুধু তার সময় অপচয় হবে। আগে মানুষ পড়াশোনা
করার পাশাপাশি দোকানে কাজ করতো অথবা টিউশনি করাতো। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে
মানুষের কাজেরও পরিবর্তন হয়েছে। নিচে আয় করার গাইড সমূহ উল্লখ করা হলঃ
- নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল চালু করুন।
- ব্লগ লিখে ট্রাফিক বাড়ান।
- মেইল মার্কেটিং শিখে ফেলুন।
- সোশ্যাল কনটেন্ট নিয়মিত দিন।
- পেইড কোর্স প্রমোট করুন।
- লোকাল ক্লায়েন্ট খুঁজে নিন।
- অনলাইন কনসাল্টিং অফার করুন।
- রেফারেল ইনকাম এক্টিভ করুন।
মানুষ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকেই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন দিনে দিনে। বর্তমানে
কোটি কোটি মানুষ ঘরে বসে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে। বাংলাদেশেও দিনে দিনে এই
বিষয়টি বেড়েই যাচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা মার্কেটপ্লেসে কাজ করার মাধ্যমে
নিজেদের পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। কোন ছাত্র-ছাত্রী চাইলেই
আজকের গাইডলাইন পাওয়ার পর তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ২০,০০০ টাকা বা তার বেশি
ইনকাম করতে পারে। চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেই।
সঠিক দক্ষতা বাছাই করুন
যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন প্রথমেই আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ধাপটি হলো সঠিক স্কিল বা দক্ষতা বাছাই করা। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার এই ধাপে এসে
ভুল করেন অর্থাৎ প্রথমেই ভুলটি করেন, যার কারণে পরে হতাশা এবং ইনকামের ঘাটতি দেখা
যায়। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে নিজের আগ্রহ এবং বাজারের চাহিদা বুঝে
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা দরকার। এছাড়াও আপনি কতটুকু সময় কোন বিষয়ে দিতে পারছেন
এই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। তারপর ভালোভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন
করার জন্য জানতে চাইলে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ডিজিটাল
মার্কেটিং এর কথা। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে।
এছাড়া ড্রপ শিপিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপিং ইত্যাদি কাজগুলোও ডিজিটাল মার্কেটিং
হিসেবে পরিচিত। কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং এমন নানা রকম কাজ রয়েছে যেগুলোর
মাধ্যমে আপনি ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কাজেই সঠিক দক্ষতা বাছাই
করুন।
একটি কোর্স শেষ করুন
দক্ষতা বেছে নেওয়ার পর পরবর্তী ধাপ হিসেবে আপনাকে গ্রহণ করতে হবে যেকোনো একটা
কোর্স শেষ করার বিষয়টি। অর্থাৎ আপনি যখন বুঝতে পারছেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে
এই কাজের ওপর পারদর্শিতা লাভ করতে পারেন তাহলে আপনার উচিত হবে সেই বিষয়ের উপর
ট্রেনিং নিয়ে কোর্স শেষ করা। ইউটিউবেই আপনি অনেক কোর্সের প্লাটফর্ম পেতে পারেন।
এমন কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এর নাম হল Udemy, Cousera, Linkedln learning ইত্যাদি।
এছাড়াও অনেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেক কোর্স করান।
আপনি এই কোর্স গুলোতে অংশগ্রহণ করে যেই বিষয়ের প্রতি আপনি আগ্রহী সেই বিষয়ের
উপর সম্পূর্ণ কোর্সটি শেষ করতে পারেন। এতে করে ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখায়
আপনার দক্ষতা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে টিকে থাকার জন্য
আপনাকে বেসিক বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে। তাছাড়া আপনি দিনের পর দিন
পরিশ্রম করেই যাবেন ফলাফল হাতে পাবেন না। একসময় বিরক্ত হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা
ছেড়ে দেবেন। এটির কারণ হবে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়া।
নিজের প্র্যাকটিস রুটিন বানান
কোন বিষয়ের উপর কোর্স শেষ করে সেই বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জনের পর গুরুত্বপূর্ণ
কাজ হবে নিজের প্র্যাকটিস রুটিন বানানো। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার যে ভুলটা শুরুর
দিকে করে থাকে সেটি হল কোর্স শেষ করার পরপরই তারা মনে করে সেই বিষয়ের উপর তারা
ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে ফেলেছে। কিন্তু আসল বিষয় হল যেই বিষয়ের উপর কোর্স
শেষ করা হয়েছে বা দক্ষতা অর্জন করা হয়েছে তার উপর যদি প্র্যাকটিস না করা হয়
তাহলে আস্তে আস্তে সেটি ভুলে যাবে এবং দক্ষতা অর্জন কাজে আসবে না।
এছাড়াও যত বেশি প্র্যাকটিস করা হবে সেই বিষয়ের উপর নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করা
যাবে। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে থাকেন তাহলে আপনার উচিত হবে প্রতিদিন অন্তত
একটি ডিজাইন তৈরি করা। আবার আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপিং বা কনটেন্ট রাইটিং অথবা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কোর্স করে থাকেন তাহলে এই বিষয়গুলোর উপর নিজস্ব
প্র্যাকটিস রুটিন বানিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একই সময় নিয়ে আস্তে আস্তে চর্চা করতে
থাকুন। এর ফলে আপনি যে বিষয়ে কোর্স করেছেন সেটির উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করবেন।
পোর্টফোলিও তৈরি করে ফেলুন
দক্ষতা অর্জন এবং প্র্যাকটিসের পর ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ পাওয়ার জন্য সবচেয়ে
গুরুত্ব যে বিষয়টি রাখে সেটি হচ্ছে একটি মানসম্মত পোর্টফোলিও। অনেকে হয়তো
পোর্টফোলিও কি সেটা জানেন না। পোর্টফোলিও বলতে সাধারণত এমন একটি কালেকশন কে
বোঝায় যেখানে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা বিনিয়োগকারীর কাজ, দক্ষতা, অর্জন বা
বিনিয়োগের বিবরণ থাকে। একটি মানসম্মত পোর্টফোলিও প্রোফাইল তৈরি করার মাধ্যমে
সবাই জানতে পারবে আপনার কাজের ধরন, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা।
কাজেই আপনি পোর্টফোলিও এমন ভাবে তৈরি করে ফেলুন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ দেখে
বুঝতে পারে আপনি আসলেই কাজটি জানেন। যদি আপনি খুব ভালো ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে
এমন কিছু ডিজাইন করুন যেগুলো ইউনিক। এবং সেটি নিজের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিন।
যদি আপনি অনলাইনে লেখালেখি করেন তাহলে লেখাগুলো গুগল ডেক্স এ রেখে শেয়ারযোগ্য করে
দিন। এভাবে ১০টি কাজের নমুনা সহ আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দক্ষতা এবং কাজের
ব্যাখ্যা দিয়ে পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
ফাইবার প্রোফাইল উন্নত করুন
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে ফাইবার প্রোফাইল থাকা খুবই জরুরী। তবে ফাইবার
প্রোফাইল খোলার পর এখানে সফল হতে হলে প্রোফাইলটি উন্নত করতে হবে। উন্নত বলতে
বোঝানো হচ্ছে ফাইবার প্রোফাইলটি প্রফেশনাল প্রোফাইল হতে হবে। ফাইবার প্রোফাইল এমন
একটি জায়গা যেখানে ক্লায়েন্ট প্রোফাইল দেখে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
কাজেই ফাইবার প্রোফাইল উন্নত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফাইবার প্রোফাইল
তৈরির সময় প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে প্রোফাইল পিকচার যেন স্পষ্ট হয়।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
এর পাশাপাশি প্রোফাইল পিকচারটি যেন প্রফেশনাল হয় এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
ডিসক্রিপশন অংশে সংক্ষেপে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। ডিস্ক্রিপশন অংশে
এটিও লিখুন ক্লায়েন্ট কেন আপনাকে তার কাজগুলো দিবে সেই ব্যাপারে। যখন আপনি গিগ
তৈরি করবেন তখন কিওয়ার্ড রিসার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে ধরা হয়।
টাইটেল, ট্যাগ এবং ডিসক্রিপশন এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেখানে এসইও ও এইও দুই
কৌশলই থাকে। গিগে আকর্ষণীয় থাম্বেলসহ পরিষ্কার এবং সংক্ষিপ্ত ভিডিও দিতে পারেন।
সঠিকভাবে আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলুন
স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড হিসেবে
আপনাকে সঠিকভাবে আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলতে হবে। আপওয়ার্ক হল এমন একটি ওয়েবসাইট
যেখানে একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য বিড করতে পারে।
কাজেই আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলা খুবই জরুরী বিষয়। এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন হাজার
হাজার মানুষ নতুন কাজের জন্য পোস্ট করে থাকে। কাজেই আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার পর
সেটাকে উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে।
আপওয়ার্কে একাউন্ট খোলার সময় প্রথমে একটি প্রফেশনাল ইমেইল ব্যবহার করুন। আপনার
নাম ঠিকানা অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে দিন। প্রোফাইলের কিছু বিষয়ে আপনাকে বেশ
গুরুত্বের সাথে কাজ করতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল টাইটেল, ওভারভিউ, স্কিলস,
এডুকেশন এবং এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে। এই বিষয়গুলো আপনাকে এমন ভাবে লিখতে হবে
যেন ক্লায়েন্ট এগুলো দেখে আপনার ওপর বিশ্বাস পায় এবং আপনাকে কাজের দায়িত্ব
দেয়। এভাবে আপওয়ার্ক কে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা বাড়ান।
ছোট কাজ থেকে শুরু করুন
অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার যে ভুলটি করে সেটি হল শুরুতেই বড় প্রজেক্ট ধরার চেষ্টা
করে থাকে। কিন্তু উচিত হলো প্রথমেই বড় কাজ না ধরে ছোট ছোট টাস্ক গুলো নিয়ে কাজ
করা। যার ফলে প্ল্যাটফর্মের পরিবেশ, ক্লায়েন্টের চাহিদা, কাজের গতি সম্পর্কে
ভালোভাবে বোঝা যায়। এই বিষয়গুলি জানার মাধ্যমেই বড় প্রজেক্ট হাতে নিলে তখন আর
সমস্যা হয় না। যদি আপনি এসইও এর কাজ শিখে থাকেন তাহলে আপনার উচিত হবে শুরুর দিকে
৫০০ শব্দের ব্লগ অপটিমাইজেশন, টাইটেল, মেটা ডিসক্রিপশন লেখা বা কিওয়ার্ড রিসার্চ
এর ছোট গিগ নেওয়া।
যখন আপনি এমন ছোট কাজ নিবেন তখন এগুলো করার মাধ্যমে আস্তে আস্তে আপনার দক্ষতা
বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং আপনি বড় প্রজেক্ট নেওয়ার জন্য যোগ্য হতে থাকবেন। আবার
যদি আপনি এইও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে হিউম্যান টোনে লেখা ফ্যাক,
স্কিমা ট্যাগ সাজানো বা ভয়েস সার্চ এর জন্য কন্টেন অপ্টিমাইজেশন এর মত ছোট কাজ
শুরু করতে পারেন। যখন ক্লায়েন্ট দেখবে আপনি ছোট কাজের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন তখন
বড় প্রজেক্টগুলো আপনাকে দিতে সাহস পাবে। এভাবে ছোট কাজ থেকে বড় কাজে যেতে হয়।
ক্লায়েন্টের সাথে ভালো ব্যবহার করুন
ফ্রিল্যান্সিং জগতে টেকসই সম্পর্ক গড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। যদি আপনি ক্লায়েন্টের
সাথে ভালো সম্পর্ক করতে না পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি টিকে থাকতে
পারবেন না। এর জন্য প্রয়োজন আপনার সদাচরণ এবং পেশাদার যোগাযোগ। আপনি যদি
ক্লায়েন্টের সাথে খারাপ আচরণ করেন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেবে না। কারণ
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা কাজ নেওয়ার জন্য অনেক আগ্রহী।
প্রথম মেসেজে একটু ক্লায়েন্টের সাথে এমন আচরণ করুন যেন,
ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে আপনি আপনার কাজে বেশ মনোযোগী এবং কাজ করতে আগ্রহী। আপনি
যেই বিষয়ের উপর কাজ করতে চান সেই বিষয়ের উপর ক্লায়েন্টের চাহিদা বোঝার চেষ্টা
করুন। এবং আপনি যেই কাজ নিয়েছেন সেই কাজের সময় মত আপডেট দিন। যদি কোন সমস্যা হয়
সেটির সমাধানে আন্তরিকভাবে এগিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ ক্লায়েন্টের সাথে আপনাকে
আন্তরিক হতে হবে। কাজ ডেলিভারি করার পর ক্লায়েন্টের রিভিউ চান। এবং কখনোই
ক্লায়েন্টের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না।
মন্তব্যঃ স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড
স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করার গাইড সম্পর্কে
আজকের আর্টিকেলে বিস্তরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলের বলা হয়েছে
শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি কিভাবে অন্তত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই
বিশ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে এই টাকা উপার্জন
করতে হলে তাকে কোন পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। কোন কোন জায়গায় প্রোফাইল খুলতে হবে
এবং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করতে হবে সেই ব্যাপারে বলা হয়েছে।
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে একজন শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং জগতে ঢুকে
যাওয়ার পর তার প্রথম কোন কাজ করতে হবে এবং কোন কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা উপার্জন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক উপায়ে
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো করা। এবং আরো একটি বিষয় গুরুত্ব রাখে সেটি হল
ক্লায়েন্টের সাথে ভালো ব্যবহার করা। এই পদ্ধতি গুলো মেনে চলে আপনিও শিক্ষার্থী
হলে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই
থাকুন।250510
mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url