পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে হয়তো আমাদের অনেকের জানা নেই আসলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াটা কি? পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কোন একটা ঔষধ খাওয়ার পরে আপনার শরীরে খারাপ লাগা দেখা দিতে পারে। যেমন ধরুন আপনার মাথা ব্যাথা, চুলকানি, ঘুম ঘুম ভাব

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া-মানে-কি

বমিবমি ভাব ইত্যাদি এসব হতে পারে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে অবাঞ্ছিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কাঙ্খিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনি মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো কোন ঔষধ বা চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য সাধনের বাইরে শরীরে সৃষ্টি অবাঞ্ছিত বা অপ্রত্যাশিত প্রভাব। সাধারণত ঔষধ আমাদের রোগ নিরাময়ের জন্য তৈরি করা হয় কিন্তু এর পাশাপাশি এটি আমাদের দেহের অন্যান্য অংশ প্রভাব ফেলতে পারে। যখন কোন ঔষধ সেবন করা হয় বা কোন চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়, তখন সেই ঔষধ বা চিকিৎসার মূল কাজ ছাড়া ও শরীরে যে অতিরিক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রকাশিত ভাব দেখা যায় তাকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে কিছু হালকা পাশে প্রতিক্রিয়া হলো মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে অনেক গুরুতর।
যার ফলে আমাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন শ্বাসকষ্ট, তীব্র এলার্জির প্রক্রিয়া, অস্বাভাবিক রক্তপাত ইত্যাদি। প্রতিটি ঔষধেরি কমবেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, কারণ আমাদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা ওষুধ শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গ কে প্রবাবিত করতে পার। সাধারণত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একই রকম ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সব মানুষের ক্ষেত্রে একই রকম হয় না। এটি ব্যক্তি ভেদে একেকজনের একেক রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এমন সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এমন মৃদু দেখা দেয় যে সেটা চোখেও পড়ে না।আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি একেবারেই দেখা যায় না।আপনি যদি নতুন কোন ঔষধ সেবন করেন এবং তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে অবশ্যই  ডাক্তারকে জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রকারভেদ ও কি কি

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলতে কোন ঔষধ বা চিকিৎসার অনাকাঙ্ক্ষিত বা অনেক সময় ক্ষতিকর প্রভাবকে বুঝায়। যা ঔষধের মূল উদ্দেশ্য বা কাঙ্ক্ষিত প্রভাবের অতিরিক্ত হিসেবে দেখা দেয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে বিভিন্ন বদ্ধ করা যায়। নিচে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

সাধারণ বা হালকা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর হয় না বরং এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিজে থেকে চলে যায় অথবা সামান্য চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বেশি দেখা যায় যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তা হল, বমি বমি ভাব, হালকা মাথাব্যথা, ক্লান্তি, সামান্য ডায়রিয়া, সামান্য ত্বকের ফুসকুড়ি, ক্ষুধা মন্দা। এই সব ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আমাদের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে না এবং জীবনঘাতী নয়।

স্বল্প মেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত ঔষধ গ্রহণ শুরু করার কিছুক্ষণ পরে অথবা চিকিৎসা চলাকালীন দেখা দেয় এবং চিকিৎসার অল্প সময়ের মধ্যে চলে যায়। অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে ডায়রিয়া ব্যথা নষ্ট ঔষুধের কারণে পেট ব্যথা প্রথমবার কোন ঔষধ সেবনের পর তন্দ্রাচ্ছন্নতা, সাধারণ ক্ষণস্থায়ী এবং ঔষধ বন্ধ করার পর শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঠিক হয়ে যায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কখন ঘটে

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট সময় বা পরিস্থিতিতেই ঘটবে এমন কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এটি বিভিন্ন কারণ পরিস্থিতি এবং ঔষধি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময় ঘটতে পারে তবে কিছু সাধারণ সময় এবং পরিস্থিতি আছে যখন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কখন ঘটে এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলোঃ

ঔষধ গ্রহণ শুরু করার সময়ঃ বেশিরভাগ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কৌশল গ্রহণ শুরু করার প্রথম কয়েক ঘন্টার ডিম্বাশয় মধ্যে দেখা যায়। শরীর যখন নতুন ওষুধের সাথে মেনে নিতে চেষ্টা করে তখন এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করলে প্রথম দুই তিন দিনের মধ্যে বমি বমি ভাব বা  ডায়রিয়া হতে পারে।
ঔষুধের মাত্রা পরিবর্তনের সময়ঃ আপনার যখন ঔষধের মাত্রা বাড়ানো বা কমানো হয়, তখন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যদি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে মাত্রা বাড়ালে শরীরে ঔষুধের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো আপনি হঠাৎ বন্ধ করে দিলে আপনার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। উদাহরণ হচ্ছে, ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ানোর পর হঠাৎ করে রক্তের শর্করা মাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধের উপায়

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ভাবে এড়ানো  সম্ভব না হলেও কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমানো এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধের প্রধান উপায় গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ

ডক্টরের সাথে খোলামেলা আলোচনাঃ ঔষধ সেবনের পূর্বে আপনি চলাকালীন সময়ে ডক্টর এর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনার বর্তমান সব স্বাস্থ্যগত সমস্যা চিকিৎসককে জানাতে হবে।কোন ঔষধ খেলে আপনার শরীরে এলার্জির উপাদান আছে কিনা এই সম্পর্কেও ডাক্তার কে জানাতে হবে।

ঔষধের সঠিক ব্যবহারঃ ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা অত্যাবশক।চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শে অনুযায়ী সঠিক ডোজ সেবন করতে হবে। নিজে নিজে ঔষধের মাত্রা বাড়ানো থেকে বিরত থাকুন।অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কিছু ঔষধ রয়েছে সেইসব ঔষধের কোর্স সম্পূর্ণ করা জরুরী। এমনকি আপনি যদি ভালো অনুভব করেন তবুও এটি আপনাকে পরিপূর্ণ ডোজ কমপ্লিট করতে হবে। এবং আপনাকে অবশ্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সেবন থেকে দূরে থাকতে হবে।

চিকিৎসা গ্রহণকারী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

চিকিৎসা গ্রহণকারী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলতে কোন নির্দিষ্ট ঔষধ বা চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে সৃষ্টি অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতিকর প্রভাবকে বোঝানো হয়। এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রোগের মূল রোগ বা অসুস্থতার জন্য সরাসরি দায়ী না হলেও চিকিৎসার ফলে উপকার হয়। এই সব ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণ বা গুরুতর হতে পারে। ডক্টরের ভুল চিকিৎসার কারণে ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণকারী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিচে আলোচনা করা হলোঃ

ঔষধ জনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ ঔষধ জনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণ ধরনের এবং আমরা উপরে এ বিষয়ে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি। ডায়রিয়া, ইনফেকশন, এলার্জি প্রতিক্রিয়া, পেট ব্যথা আলসার, কিডনির সমস্যা, চুল পড়া, বমি বমি ভাব, রক্তকণিকা কমে যাওয়া।

রোগ নির্ণয় পদ্ধতির কারণে সৃষ্টি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ কিছু রোগ নির্ণয় পদ্ধতি যেমন বায়োপসি, এন্ডোসকপি, ব্যবহার করে ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বায়োপসির পর ব্যথা রক্তক্ষরণ বা সংক্রমণ হতে পারে।

অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ ফিজিওথেরাপি ভুল পদ্ধতির কারণে ব্যথা বৃদ্ধি বা নতুন আঘাত সৃষ্টি হতে পারে। ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়ার পর জ্বর, শরীর ব্যথা বা ইনজেকশনের স্থানের ফোলা ভাব হওয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যা ঔষধ এবং চিকিৎসার পদ্ধতি নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য। এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সনাক্তকরণ ও মূল্যায়নঃ নতুন ঔষধবার চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তনের আগে এবং পরে এর সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সনাক্ত করা হয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণ ও প্রতিক্রিয়া নির্ণয়ঃ গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কেন এবং কিভাবে একটি নির্দিষ্ট ঔষধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে ঔষধের রাসায়নিক গঠন শরীরের সাথে মিথস্ক্রিয়া এবং ঔষধ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের চিহ্নিতকরণঃ সকল ব্যক্তির উপর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রভাব এরকম হয় না। গবেষণা করে দেখা হয় কোন বয়সের মানুষ কোন নির্দিষ্ট সেবনকারী ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা রোগীদের নিরাপদ এবং কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জরুরী। শুধু রোগ নয় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং সাধারণ জনগণ সবারই এই বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।নিচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতার বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া-মানে-কি
রোগীদের জন্য সচেতনতাঃ রোগীদের নিজেদের ঔষধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধের নাম ও ডোজ জানা, সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার, লক্ষণসমূহ শনাক্তকরণ, কখন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে,অন্যান্য ঔষধের তথ্য প্রদান, চিকিৎসা ইতিহাস জানানো।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সচেতনতাঃ চিকিৎসক, নার্স এবং ফার্মাসিস্টের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। তাদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে, রোগীদের বিস্তারিত তথ্য প্রদান, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ, রিপোর্টিং, সর্বশেষ গবেষণা ও নির্দেশিকা সম্পর্কে জ্ঞান, সঠিক প্রেসক্রিপশন।

শিশুদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

শিশুদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে ভিন্ন হতে পারে এবং এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।শিশুদের শারীরিক গঠন, মেটাবলিজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে আলাদা হওয়ার কারণে ঔষধের প্রতিক্রিয়া ও ভিন্ন হয়। নিচে শিশুদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
শারীরিক ও ফিজিওলজিক্যাল পার্থক্যঃ শিশুদের শরীর প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে অনেক দিক থেকে আলাদা। শিশুদের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা হলো মেটাবলিজম শিশুদের লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো সম্পূন্ন বিকাশিত হয় না। শিশুদের শরীরের গঠন ওজন এবং চর্বি পেশির অনুপাত প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে ভিন্ন। শিশুদের রক্ত মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক তুলনামূলকভাবে অপরিণত থাকে যার ফলে কিছু ঔষধ মস্তিষ্কের সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

বয়স্কদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বয়স্কদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একটি গুরুতর উদ্বেগ, সাধারণত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এদের শরীরে ওষুধের প্রতিক্রিয়া ভিন্নভাবে দেখাতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন ধরনের মেটাবলিজম এবং নিষ্কাশনের প্রভাবিত করে এর ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঝুঁকি বেড়ে যায়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি, তা সম্পর্কে বয়স্কদের মধ্যে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া-মানে-কি
শারীরিক ও ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তনঃ বয়স্কদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন করে যা ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন, কম পেশী এবং বেশি চর্বি, কম মোটা শরীরের জল, যকৃতের কার্যকারিতার হ্রাস।

রোগীর জটিলতায় এবং সহ অসুস্থতাঃ বয়স্কদের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য রোগ এবং অসুস্থতা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে ঔষধ গুলো শরীর থেকে ঠিকমতো বের হতে পারেনা ফলে ওষুধের বিষাক্ততা বেড়ে যায়।

শেষ কথাঃ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মানে কি, বমিবমি ভাব ইত্যাদি এসব, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল কোন ঔষুধের কাঙ্ক্ষিত থেরাপি প্রভাব ছাড়া ও সৃষ্টি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ক্ষতিকর প্রভাব। যখন আমরা কোন ঔষধ সেবন করে থাকি, তখন আমাদের শরীর সেই ঔষুধের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই প্রতিক্রিয়ার একটি অংশ হল রোগের উপর ঔষধের ইতিবাচক প্রভাব। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা এবং সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।যে কোন ঔষধ স্থাপনের আগে চিকিৎসকের সাথে এবং সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত।

অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত লক্ষণ দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসকে জানানো উচিত। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং চিকিৎসার সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণে সহায়তা করে। আপনি যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মানে কি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলে লিখা উপরে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনি ভালো কিছু জানতে পারবেন।250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url