ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, ডেপোটিন হল ভ্যালপ্রোয়েট জাতীয় একটি ঔষধ। এটি সাধারণত মৃগী মানসিক রোগ এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি কার্যকর কিন্তু এটির ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি, ব্যবহার করা যাবে না। ডেপোটিন খাওয়ার পরে আমাদের মাথা ব্যথা এবং ঘুম
ঘুম ভাব দেখা যায়। আজকে আমরা জানবো এই ট্যাবলেট ব্যবহার করে আমাদের কি কি
উপকার এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তা আমরা আর্টিকেলে আলোচনা
করব।
পেজ সূচিপত্রঃ ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- ডেপোটিন কি এবং এটি কেন ব্যবহার হয়
- ডেপোটিন ব্যবহারের সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- মানসিক ও স্নায়বিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ডেপোটিনের প্রভাবে
- পেটের সমস্যা এবং হজমের প্রভাব
- গর্ভাঅবস্থায় ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- লিভার সংক্রান্ত জটিলতার ক্ষেত্রে ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- শেষ কথাঃ ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, ডেপোটিন একটি পরিচিত ওষুধ যা মূলত মানসিক
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা
হয়। এটি ভ্যালপ্রোয়িক অ্যাসিড বা সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট হয়ে থাকে। এটি মৃগী রোগ বাইপোলার ডিসঅর্ডার এবং
মাইগ্রেনের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। যদিও এটি কার্যকর ঔষধ তবে
অন্যান্য ওষুধের মতোই ডেপোটিনের ও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
নির্ভর করে ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং এর তীব্রতা ও নির্ভর করে ডোজ রোগী
শারীরিক অবস্থা এবং অন্যান্য ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়ার উপর।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা
সাধারণত কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণ এবং হালকা হতে পারে, আবার
কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো গুরুতর এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন
হতে পারে। এ আর্টিকেলের পরবর্তী অংশগুলোতে ডেপোটিনের বিভিন্ন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যাতে করে ডেপোটিন
ব্যবহারকারীরা এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অবগত থাকতে পারে। আর যদি ওষুধ
সেবনের সময় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
নিতে হবে।
ডেপোটিন কি এবং এটি কেন ব্যবহার হয়
ডেপোটিন হল একটি ঔষধ এটি মূলত সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়িক বা ভ্যালপ্রোয়িক অ্যাসিড নামসংক্রিয় উপাদান ধারণ করে। এন্টি
কনভালসেন্ট এবং মুড স্টেবিলাইজার হিসেবে পরিচিত। এটি মস্তিষ্কের
রাসায়নিক পদার্থ গুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যা নির্দিষ্ট কিছু
স্নায়বিক ও মানসিক অবস্থার চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ডেপুটিনের
ব্যবহারের প্রধান কারণগুলো আলোচনা করা হলোঃ
- মাইগ্রেন প্রতিরোধঃ ডেপোটিন নিয়মিত মাইগ্রেনের মাথাব্যথা প্রতিরোধ করতে ও ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যখন অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকর হয় না। এটি মাইগ্রেনের তীব্রতা এবং পুনরাবৃত্তি কমাতে সাহায্য করে।
- মৃগী রোগঃ ডেপোটিন বিভিন্ন ধরনের মৃগী রোগের খিচুনি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন সাধারণ খিচুনি, আংশিক খিচুনি। এটি মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক কার্যকলাপকে শান্ত করে খিচুনি প্রতিরোধ সহায়তা করে।
- বাইপোলার ডিসঅর্ডারঃ ডেপোটিন এ ওষুধটি বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ম্যানিক পর্ব এবং হাইপোম্যানিক পর্বের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি মেজাজের চরম পরিবর্তন যেমন অত্যাধিক উচ্ছ্বাস বিরক্তি বা অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং মেজাজকে স্থিতিশীল রাখে।
ডেপোটিন ব্যবহারের সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডেপোটিন একটি কার্যকর ঔষধ হলে ও
এর কিছু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এই পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া গুলো সাধারণত মৃদু হয় এবং শরীরের সাথে ঔষধের মানিয়ে
নেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কমে যেতে পারে তবে যদি এই লক্ষণগুলো
গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
জরুরি। ডেপোটিন ব্যবহারের ফলে সাধারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা
হলোঃ
- মাথা ঘোরাঃ ডেপোটিন সেবনের পর অনেক হালকা মাথা ঘোরাবা ঘুমে আসন্ন অনুভব করতে পারেন।এই ওষুধ সেবনের পরে কোন ধরনের গাড়ি বা ভারী যন্ত্রপাতি চালানো যাবেনা এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে এজন্য এটি ব্যবহারের পর সতর্কতা থাকতে হবে যাতে করে এই ওষুধটি খাওয়ার পরে আপনার উপর কোন প্রভাব না খেলে।
- বমি বা পেটের অস্তিত্বঃ বমি বমি ভাব পেট ব্যথা এটি ডেপোটিনের একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এই সমস্যা হলে আপনি ওষুধের খাবারের সাথে বা খাওয়ার পর পরে সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- চুল পড়াঃ চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা চুল পড়া সমস্যা কিছু ডেপোটিন ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা যায়। এটি সাধারণত অস্থায়ী হয় এবং ঔষধ বন্ধ করার পর বা ডোজ পরিবর্তনের পর ঠিক হয়ে যায়।
মানসিক ও স্নায়বিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ডেপোটিনের প্রভাবে
ডেপোটিন মূলত মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলে তাই এর কিছু
মানসিক স্নায়বিক পার্শ্ব প্রতিকের দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। যদিও
এটি মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা গুলির চিকিৎসায় ব্যবহৃত
হয়, তবুও কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এটি অপ্রত্যাশিত
স্নায়বিক প্রভাব ফেলতে পারে।ডেপোটিনের প্রভাব দেখা দিতে পারে এমন কিছু মানসিক ও স্নায়বিক পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলোঃ
মাথা ঘোরাঃ এটি সেবনের পর সাধারণত আপনার ভারসাম্যহীনতা বা মাথা ঘুরার অনুভূতি
দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে দাঁড়ানোর সময় বা হঠাৎ নড়াচড়ার সময়।
হাতে পায়ে কাঁপুনি আপনি যখন এটি সেবন করবেন তারপরেই আপনার হাত বা পায়ে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।যা সাধারণত ডোজ এর পরিমাণ বেশি হলে এটি দেখা দেয়।অস্থিরতা বা বিরক্তি যদিও এই ট্যাবলেট মেজাজ স্থিতিশীল কারী হিসেবে কাজ করে, কিছু রোগীর মধ্যে অস্থিরতা, সিট মিটে মেজাজ, এমনকি উদ্বেগ বৃদ্ধি হতে পারে।
হাতে পায়ে কাঁপুনি আপনি যখন এটি সেবন করবেন তারপরেই আপনার হাত বা পায়ে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।যা সাধারণত ডোজ এর পরিমাণ বেশি হলে এটি দেখা দেয়।অস্থিরতা বা বিরক্তি যদিও এই ট্যাবলেট মেজাজ স্থিতিশীল কারী হিসেবে কাজ করে, কিছু রোগীর মধ্যে অস্থিরতা, সিট মিটে মেজাজ, এমনকি উদ্বেগ বৃদ্ধি হতে পারে।
পেটের সমস্যা এবং হজমের প্রভাব
ডেপোটিন বা এর সংক্রিয় উপাদান কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পচনতন্ত্রের উপর
প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা দেখা দিতে
পারে। তার মধ্যে সাধারণ কিছু সমস্যা উল্লেখ করা হলোঃ
- বমি বমি ভাবঃ ডেপোটিনের একটি খুবই সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিশেষ করে চিকিৎসার শুরুতে ডোজ বাড়ানোর সময়। খাবার খাওয়ার পর বা দুধের সাথে ওষুধ খেলে যদি কিছুটা কমানো যেতে পারে।
- ডায়রিয়াঃ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া দেখা দিতে।
- ক্ষুধা পরিবর্তনঃ কিছু মানুষের ক্ষুধা বাড়াতে পারে যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে আবার কিছু ক্ষেত্রে ক্ষুধা কমে যাওয়া দেখা যেতে পারে।
- বদহজমঃ হজম প্রক্রিয়া ধীর হওয়ায় বা খাবার সঠিকভাবে হজম না হওয়ার কারণে বদহজম হতে পারে।
গর্ভাঅবস্থায় ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
গর্ভাঅবস্থায় ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল একটি বিষয়। কারণ এটি গর্ভের শিশুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সাধারণত এই ডেপোটিন এই ঔষধটি বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মত চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়।গর্ভাঅবস্থায় ডেপোটিন ব্যবহারের প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুতর ঝুঁকিগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ ইউরিন ইনফেকশন দূর করা ১০ টি উপায়
- জন্মগত ত্রুটিঃ জন্মগত ভাবে ত্রুটির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।বিশেষ করে প্রথম ত্রিমাসিকে যখন ভ্রনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হয়। সাধারণ জন্মগত ত্রুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে।
- মুখ ও ঠোঁটের বিকৃতিঃ ঠোঁট বা তালু সঠিকভাবে জোড়া না লাগে।
- হাত ও পায়ে ত্রুটিঃ অস্বাভাবিক অঙ্গ পতঙ্গের গঠন।
- মুত্রনালীর ত্রুটিঃ কিডনি বা মুত্রনালীর সমস্যা।
দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডেপোটিন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে
পারে। যা স্বল্পমেয়াদী ব্যবহারের চেয়ে ভিন্ন বা আরো গুরুতর
হতে পারে। নিচে বিস্তারিতভাবে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে ডেপোটিন এর
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলি আলোচনা করা হয়ঃ
- ওজন বৃদ্ধিঃ ডেপোটিন একটি খুবই সাধারণ এবং উদ্বেগের কারণ হলো দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। ঔষধ টি ক্ষুধা বাড়াতে পারে, এবং বিপাক প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হলে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস এর অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা ঝুঁকি বাড়ায়।
- লিভারের ক্ষতিঃ লিভারের ক্ষতি যদিও একটি গুরুতর ক্ষতি।একটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তবে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে লিভার এনজাইনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এটি সাধারণত চিকিৎসার প্রথম ছয় মাসের মধ্যে হবে। ছোট রোগীদের ক্ষেত্রে এ রোগের ঝুঁকি বেশি। নিয়মিত লিভার ফাংশন এর মাধ্যমে এটি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
- কিডনির সমস্যাঃ বিরল ক্ষেত্রে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে যা লিভার ফাংশনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দীর্ঘদিন ডেপোটিন ব্যবহারকারীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। চিকিৎসক নিয়মিত আপনার রক্ত পরীক্ষা করবে লিভার ফাংশন, রক্তের গণনা, ভোজন পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্য পরীক্ষা করে রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করবেন।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
বয়স্ক রোগীদের জন্য ডেপোটিন ব্যবহারে বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। কারণ তাদের
শরীর তরুণদের তুলনায় ওষুধের প্রতি বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। বয়স
বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে
মানুষের অন্যান্য রোগের উপস্থিতি এবং একাধিক ঔষধের সেবনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়
যা ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বয়স্কদের
ক্ষেত্রে ডেপোটিন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।যেমন, পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি, তন্দ্রা, বিশ্রাম এবং জ্ঞানীও দুর্বলতা, রক্তের
সোডিয়াম মাত্রা কমে যাওয়া, লিভারের কার্যকারিতা, হাড়ের স্বাস্থ্য, অন্যান্য
ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া, ওজন বৃদ্ধি, বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ডেপোটিন
ব্যবহার একজন চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে, কারণ একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া
বয়স্কদের ভালোমতো চিকিৎসা করতে পারবে না। এই রোগের সঠিক মূল্যায়ন ভিত্তি করে
সেই রোগের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারে।
লিভার সংক্রান্ত জটিলতার ক্ষেত্রে ডেপোটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডেপোটিন লিভার দ্বারা বিপাক হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় লিভারের কিছু পরিবর্তন
আসতে পারে। যা লিভারের কার্যকারী থাকে প্রভাবিত করে। কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে
সামান্য লিভার এনজাইম বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। যা সাধারণ তো গুরুতর নয়।
যদি কেউ ওষুধের ডোজ কমিয়ে দেয় তাহলে এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে বিরল
ক্ষেত্রে ডেপোটিন ব্যবহারের ফলে লিভারের গুরুদর ও সমস্যা হয় এবং এর ফলে
প্রাণঘাতী সমস্যা দেখা দেয়। যদি ডেপোটিন ব্যবহারের সময় রিভার
সংক্রান্ত দেখা দেয় তার নিম্নলোখিত উল্লেখ গুলো আলোচনা করা হলোঃ
- তীব্র ক্লান্তি বা দুর্বলতাঃ ক্রমাগত বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব হওয়া।
- পেট ব্যথাঃ পেটের ডান দিকে অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করা।
- ক্ষুধামন্দাঃ খাবার গ্রহণে অনীহা বা ক্ষুধা কমে যাওয়া
- জন্ডিসঃ ত্বক বা চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া। যা লিভারের একটি গুরুত্ব ও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- গাড় প্রস্রাবঃ প্রসাবের রং অস্বাভাবিক ভাবে গাড় হয়ে যাওয়া।
ডেপোটিন গ্রহণের সময় লিভারের কার্যকারিতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত। চিকিৎসক
সাধারণত ঔষধ শুরুর আগে এবং চিকিৎসার সময় নিয়মিত লিভার ফাংশন পর্যবেক্ষণ করার
পরামর্শ দেন। যদি আপনার লিভারে এনজাইমের মাত্রা বেড়ে যায় তখন চিকিৎসক ডেপোটিন
ডোজ পরিবর্তন করতে পারেন বা ঔষধ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। ডেপোটিন একটি কার্যকরী ঔষধ হলেও লিভার সংক্রান্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সচেতন থাকা
এবং চিকিৎসকের পরামর্শ তত্ত্বাবধানে থাকা ও সুস্থ ও নিরাপদ চিকিৎসার জন্য
অপরিহার্য।
শেষ কথাঃ ডেপোটিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি, ডেপোটিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ যা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মৃগী রোগ, বাইপলার
ডিসঅর্ডার, এবং মাইগ্রেনের চিকিৎসা এভাবেই তো হয়। এটি নিঃসন্দেহে অনেক রোগীর
জন্য উপকারী একটি ঔষধ। প্রধান উপাদান সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট এর কার্যকারিতা আনস্বীকার্য। ডেপোটিনের বিভিন্ন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া যেমন মানসিক ও স্নায়বিক জটিলতা ত্বকের সমস্যা এবং লিভার
সংক্রান্ত জটিলতা পর্যন্ত। গর্ভঅবস্থায় এর ব্যবহার ও বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে
এর প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
প্রত্যেকে শরীরে যে কোন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তেমন এই ঔষধ
ব্যবহারের ফলে ও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সামান্য
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এবং কারো ক্ষেত্রে অনেক বড় সমস্যা দেখা
দিতে পারে। এজন্য এটি গ্রহণের সময় অবশ্যই অভিজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন
তারপর এটি ব্যবহার করবেন। ডেপোটিন ব্যবহার করলে কি কি উপকার এবং এর পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া তা উপরের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আপনারা তো মনোযোগ দিয়ে
পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।250510
mtwahid নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url